দু-মাসের মধ্যে হাসিনার বিচার শুরু করতে তৎপর ইউনূস সরকার, দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সাহায্য

বিচারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া আগামী এপ্রিল মাসে শুরু করতে তৎপর ইউনূস সরকার

বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রস্তিুতি চলছে জোরকদমে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে স্থানীয় স্তরের অন্তত পাঁচটি নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বা আগামী বছরের প্রথমদিকে দেশে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া আগামী এপ্রিল মাসে শুরু করতে তৎপর ইউনূস সরকার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা আশা করি, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার(sekh hjasina) বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে পারব। যদি মার্চ মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট আমরা পেয়ে যাই, সেক্ষেত্রে এপ্রিল মাস থেকে বিচার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক পর্বটা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, গুম, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে আড়াইশ’টিরও বেশি মামলা হয়েছে।

বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এর মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় শেখ হাসিনা-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে যে তদন্ত চলছে, তা আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

তবে ওই সময়ের আগেই তদন্ত শেষ করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করতে চান ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলিরা। চলতি বছরের মধ্যে বেশ কিছু মামলার বিচারকাজ শেষ করার লক্ষ্যও রয়েছে তাদের।ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলেছেন, সবগুলো মামলার বিচার শেষ করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে সিলেক্টেড কিছু মামলা হয়তো এবছরের মধ্যে শেষ করা যাবে।

শেখ হাসিনার উপস্থিতিতেই মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলিরা। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু গণআন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগে(Awamy league) সভাপতিকে গত ছয় মাসেও দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি।ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে দ্রুত বিচার শুরু করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।