Saturday, November 8, 2025

একদম খবর ছিল না: যাদবপুর নিয়ে আদালতের প্রশ্নে সাফ বার্তা ব্রাত্যর

Date:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চরম অরাজকতার পরিবেশ রাজ্যের মন্ত্রীকে ঘিরে তৈরি করেছিল বাম ও অতিবাম ছাত্রসংগঠন, তার নিন্দা বামেরা বাদে আর সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এরপরেও আদালতে প্রশ্ন উঠেছে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত কি না, তা নিয়ে। একে গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলা যাবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে ঘটনায় সবথেকে বড় গুণ্ডাগিরির মুখে পড়া রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। সেই সঙ্গে অধ্যাপকরা আক্রান্ত হলে পরবর্তীকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকার সম্ভাবনাও থাকছে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে যাদবপুরের (Jadavpur University) ঘটনা নিয়ে দায়ের মামলায় আদালত প্রশ্ন তোলে গোয়েন্দা গাফিলতি নিয়ে। যদি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এরকম ইঙ্গিত থাকত, তবে কেন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী (minister of education) স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আমার কাছে সত্যিই এরকম কোনও খবর ছিল না। এবং আমার কল্পনার বাইরে ছিল। আমরা সেদিনও মনে হয়েছে পুলিশ (police) নিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল না। আজও তাই মনে করি। আবার পুলিশ নিয়ে যাওয়া যেমন দরকার ছিল না বলে মনে করি, তেমনই আমার আত্মরক্ষার দরকার ছিল বলেও মনে করি।

সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বেরোনোর সময় নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তার জবাবে মন্ত্রী জানান, আমি মনে করি ঠিক সময়ই আমি বেরিয়েছি। ওখানে থেকে আমার আত্মরক্ষাকে আরও বিপর্যস্ত করা বা গোটা পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করে তোলা আমার মনে হয় না ঠিক হতো। আমার গাড়ির সামনে ওদের আসাই উচিত হয়নি, এটা আমি গভীরভাবে মনে করি।

যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে হাসপাতালে দেখতে যান শিক্ষা মন্ত্রী (minister of education) ব্রাত্য বসু। অন্যদিকে হামলাকারী ছাত্রদের উপাচার্যকে দেওয়া সময়সীমা শেষ হলেও তাদের হুমকি থামেনি। সেখানে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে দেখে মন্ত্রী জানান, ১৬-১৭ বছর তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। তাঁকে সব সময় সৌজন্যের, মানবিকতার রাজনীতি করতে দেখেছি।

তবে ওয়েবকুপার (WBCUPA) অধ্যাপকদের উপর বাম ছাত্রদের শারীরিক হামলার পরেও যাদবপুর (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করতে দেননি ব্রাত্য বসু। ভবিষ্যতে কীভাবে এই রকম পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ছাত্ররা অধ্যাপকদের মারবে, তার পরে নিশ্চয়ই পুলিশ ডাকা হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই এরকম কিছু হবে।

এদিন মিনার্ভা রিপোর্টারি থিয়েটারের এক নাট্যকর্মী রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করতে দল ছাড়েন। উল্লেখযোগ্যভাবে দল ছাড়ার অজুহাত হিসাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাকে হাতিয়ার করেন স্বাগতা চক্রবর্তী। সেখানেও অবশ্য দলের প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিভাবকের মনোভাব ব্যক্ত করেন ব্রাত্য বসু। তিনি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, স্বাগতাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। অভিনয়ে খুব বড় হোক। না চাইলেও ওর প্রতি শুভেচ্ছা থাকছে আমার।

Related articles

মতুয়া-ফায়দা লোটার চেষ্টা: অনশন মঞ্চে হঠাৎ হাজির বাম-কংগ্রেস!

বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতা করাই বাংলার বাম নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ। বিরোধিতার পর্যায়টা এক এক সময়ে...

জন্মদিনে চরম অসৌজন্য! অভিষেককে নিয়ে বিজেপির পোস্টে সরব নেটদুনিয়া

বাংলায় বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দল। বাম আমলে সিপিআইএম নেতা থেকে তৃণমূল বা কংগ্রেস নেতাদের...

আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা, অনুশীলনই বন্ধ রাখল মোহনবাগান

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মোহনবাগানের(Mohun Bagan) সিনিয়র দলের অনুশীলন। খবর অনুযায়ী, আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়...

জন্মদিনে মানুষের ভালবাসা মনে করিয়ে দেয় কর্তব্য: ভিড়ে মিশে গেলেন অভিষেক

সকাল হওয়ার অপেক্ষা নয়। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বাংলার বিপুল জনতা। জননেতা, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক...
Exit mobile version