স্ত্রীর দিকে কুদৃষ্টি! যুবকের চোখ উপড়ে নেওয়ার ‘শাস্তি’ গণপিটুনিতে মৃত্যু

ঝামেলা শুরু পরে প্রদীপের বুকের উপর বসে তার বাম চোখ উপড়ে (uprooting eye) নেয় গোকুল। জোর করে নিজের বাড়িতে ঢোকানোর চেষ্টাও করে

এক নৃশংস ঘটনার জেরে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ দক্ষিণ দমদমের (South Dumdum) প্রমোদনগর এলাকায়। এক যুবকের চোখ উপড়ে (uprooting eye) নেওয়ায় এক ব্যক্তিকে গণপিটুনির (lynching) অভিযোগ সেখানে। সেই গণপিটুনির জেরে মৃত্যু হল গোকুল মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তির। ঘটনায় চোখে গুরুতর আঘাত নিয়ে প্রদীপ সরকার নামের যুবকও হাসপাতালে ভর্তি।

ঘটনার সূত্রপাত প্রমোদনগরের বাসিন্দা গোকুল মণ্ডলের স্ত্রীকে নিয়ে। বুধবার ভোরে মদ্যপ অবস্থায় প্রদীপ সরকার নামে এক যুবক বাড়ি ফেরার সময় ভারসাম্য হারিয়ে গোকুল মণ্ডল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির দরজায় পড়ে যায়। গোকুল দাবি করেন প্রদীপ তার স্ত্রীর দিকে কুদৃষ্টি দিয়েছিল। ঝামেলা শুরু পরে প্রদীপের বুকের উপর বসে তার বাম চোখ উপড়ে (uprooting eye) নেয় গোকুল। জোর করে নিজের বাড়িতে ঢোকানোর চেষ্টাও করে।

সেই সময় চিৎকার চ্যাঁচামেচিতে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। তাঁরা কোনওমতে গোকুলের থেকে প্রদীপকে ছাড়ান। রাগের বশে গোকুলকে মারধর (lynching) শুরু করা হয়। গোকুলের পরিবারের দাবি, স্থানীয়রা মারধর করার পরে গোকুলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। যদিও স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই গোকুল স্থানীয়দের উপর বিনা কারণে আক্রমণ করেছে। একাধিক লোককে কামড়ে বা অন্যভাবে পাশবিক আক্রমণ চালিয়েছে।

এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage)। ঘটনায় পুলিশের তদন্তের আশ্বাস দিয়ে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, রাস্তাঘাটে দুজন মানুষের মধ্যে মারামারি অনভিপ্রেত ঘটনা। এরকম ঘটনা আগেও হয়েছে। এটা আগে থেকে আটকানোর ক্ষমতা পুলিশের নেই। তবে আইনী পথে পুলিশ যথাযথ ভূমিকা নেবে।