কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ভাবনা রাজ্যের

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে, কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই প্রকল্পে নতুন নাম অন্তর্ভুক্তি ও তথ্য যাচাইয়ের কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছে বলে নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা আইএফএসসি কোডে ত্রুটি, দুই ছাত্রী র এক নম্বর ব্যবহার ইত্যাদি কারণে কন্য়াশ্রীর আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে এই পরিষেবা প্রত্যেক ছাত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এতে সরকারি দফতরের কাজের সুবিধা হওয়ার পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতাও আসবে। মূলত, সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সময়, তথ্যগত ভুল দ্রুত সমাধানে রাজ্য প্রশাসন এআই-ভিত্তিক প্রযুক্তি আনছে, যা আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই করে দ্রুত ভুল চিহ্নিত করতে পারবে। সাধারণ সফ্টওয়্যারের তুলনায় এআই আরও দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কাজ করবে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

প্রসঙ্গত কন্যাশ্রী প্রকল্পের অধীনে ১৩-১৮ বছরের অবিবাহিত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরা প্রতি বছর ১ হাজার টাকা এবং ১৮ বছর পর্যন্ত অবিবাহিত থেকে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। গত ১১ বছরে প্রায় ৯০ লক্ষ ছাত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। চলতি অর্থবছরেই ১৫.৭৫ লক্ষ ছাত্রী বার্ষিক বৃত্তির জন্য নথিভুক্ত হয়েছেন, আর ২.০১ লক্ষ ছাত্রী পেয়েছেন এককালীন অনুদান। এখনও পর্যন্ত মোট ৫৯৩.৫১ কোটি টাকা বণ্টন হয়েছে। নতুন এআই ব্যবস্থার ফলে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা আরও স্বচ্ছ ও দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে যাবে লক্ষাধিক ছাত্রীর কাছে একথা সরকারি আধিকারিকরা বললেও বাস্তবে তা কতটা ফলপ্রসূ হয় সেটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন- ট্যাংরার বাড়ি গিয়ে স্ত্রী-কন্যার ছবির সামনে কান্না প্রসূনের, ঘটনার পুনর্নির্মাণে জানালেন ভয়ঙ্কর তথ্য

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_