রেলের চরম উদাসীনতায় বেঘোরে প্রাণ গেল ঠিকাদারি সংস্থার এক কর্মীর। বন বিভাগের কুনকি হাতির পায়ের তলায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল রেলের(rail) সহযোগী এক বেসরকারি সংস্থার কর্মীর।প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রেলের আরও সতরাক হয়ে কাজ করা উচিত ছিল। রেল লাইনের ধারে এলিফ্যান্ট ডিটেকশন সিস্টেমের(elephant detective system) ট্রায়াল রান করতে এসে কুনকি হাতির পায়ের নিচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে রেলের ঠিকাদারি সংস্থার ওই কর্মীর। ঘটনাস্থল আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের রাজাভাতখাওয়া রেলওয়ে স্টেশনের মধু গাছ তলার কাছে। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব ও রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, রেলের সঙ্গে সংঘাতে হাতির মৃত্যু ঠেকাতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বিভিন্ন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া রেললাইনে বসানো হচ্ছে ডিটেকশন ডিভাইস। এই ডিভাইসের মাধ্যমে রেললাইনে হাতি এলেই তা সতর্ক করবে ড্রাইভার এবং আশপাশের স্টেশন মাস্টারকে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার জংশন এবং রাজাভাতখাওয়া স্টেশনে এই এলিফ্যান্ট সিস্টেম ডিভাইসের ট্রায়াল রান পর্যবেক্ষণে আসেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব। সেই ট্রায়ালের জন্য বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের থেকে দুটি কুনকি হাতি আনা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ রাজাভাতখাওয়া স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের পাশেই কুনকি হাতি এনে সেই ট্রায়াল রান চলছিল। সেই সময় ওই রেললাইন দিয়ে যাচ্ছিল এক্সপ্রেস। সেই সময় ঠিকাদারি সংস্থার কর্মী বছর পঞ্চান্নর সন্দীপ চৌধুরী লাইনের পাশে ছোট একটি গর্তে পড়ে যান। তার সামনেই ছিল কুনকি হাতি জোনাকি। সে কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে পেছনে ঘুরে দেখতে গিয়ে ওই ব্যাক্তির ওপর পা দিয়ে দেয়।পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যাক্তির।ঘটনাস্থল থেকে তড়িঘড়ি তাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠালে, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

–
–

–

–

–

–

–

–

–