আরজি করে বিনা চিকিৎসায় রোগী, প্রতিবাদ করে জুনিয়র ডাক্তারদের হেনস্থার শিকার চিকিৎসক

আইনি কারণ দেখিয়ে সেই কাগজ বেমালুম ফিরিয়ে দেন কর্তব্যরত নার্স

টানা তিন ঘণ্টা রোগীকে বিনা চিকিৎসায় কাতরাতে হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক(doctor) ফিরেও তাকাননি। তিনি মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন আর এক চিকিৎসক তাপস প্রামানিক। যার জেরে তাকে হেনস্থা হতে হয় বলে অভিযোগ। শুধুমাত্র তাই নয়, কীভাবে গোটা ঘটনা সংবাদমাধ্যম জানল, সেই প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদী চিকিৎসকের উপরে চড়াও হওয়ার অভিযোগ, হাসপাতালেরই জুনিয়র চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের বিরুদ্ধে।আর জুনিয়র চিকিৎসকদের যুক্তি, তেমন কিছুই ঘটেনি!ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি বড় করে দেখানো হচ্ছে!

যদিও প্রতিবাদী ওই চিকিৎসক দাবি করেছেন, বুধবার বিকেলের দিকে এক রোগীকে জরুরি বিভাগে তিনি কাতরাতে দেখেন। সেই রোগীর কাগজ নির্দিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়। কিন্তু আইনি কারণ দেখিয়ে সেই কাগজ বেমালুম ফিরিয়ে দেন কর্তব্যরত নার্স!এই পরিস্থিতিতে রোগীর(pstient) চিকিৎসায় দেরি হওয়ার এই প্রশ্নে সরব হন তাপস। যদিও ততক্ষণে কেটে গিয়েছে প্রায় ৩ ঘণ্টা! একই প্রশ্ন তোলে রোগীর পরিবার। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ তার বসার ঘরে একদল জুনিয়র চিকিৎসক এবং কয়েকজন নার্স আসেন।কেন তিনি ওই রোগীর কার্ডে সত্যি লিখেছেন, তা নিয়ে তারা প্রশ্ন করতে থাকেন।তিনি আরও জানিয়েছেন, আমাকে ঘিরে ধরে তারা চিৎকার করতে শুরু করেন। আমি বাধ্য হয়ে ট্রমা কেয়ার বিল্ডিংয়ে আমার ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসি। ওরা সেখানেও চড়াও হয়। তাদের প্রশ্ন ছিল,  কেন আমি রোগীর জন্য নির্দিষ্ট ইমারজেন্সি টিকিট বদল করছি না। কিন্তু রোগীর চিকিৎসায় যে গড়িমসি ছিল, সেটা তে সত্যি। তাই আমি টিকিট বদল করতে রাজি হইনি। পুরো ঘটনার কথা তিনি রাতেই সুপারকে জানান। সিআরপিএফ, পুলিশ সাহায্য করে। তাকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিতে হয়।

চিকিৎসকের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সুপারের ঘরে রীতিমতো অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা হয়। নানা প্রশ্ন করা হয়। কেন এই খবর সংবাদমাধ্যম পেল, সেটাও জিজ্ঞাসা করা হয়। আমাকে সন্ধ্যায় হেনস্তার পরে ফের তাদের মুখোমুখি হতে হয়। তিনি বলেন, একটা বড় অংশের জুনিয়র চিকিৎসক এই হাসপাতালে এসব করছেন। কর্তৃপক্ষকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে। এভাবে ডিউটি করা সম্ভব না। আমি আজ থেকেই ছুটিতে যাচ্ছি! যদিও এই বিষয়ে আরজি করের আন্দোলনরত চিকিৎসকরা কিছু বলতে রাজি হননি।