পুলিশ কর্তব্যপরায়ণ: আদালতের পর্যবেক্ষণে ‘অভিভাবক’ ব্রাত্যর ভূমিকা নিয়ে পাল্টা তৃণমূল

আইনজীবী তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) সাফ জানান, সর্বত্র ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়

পুলিশ নিজের ভূমিকা পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢোকেনি। অন্যদিকে প্রোটোকল (protocol) বা অন্য কোনও দোহাই দিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) নিজের অভিভাবকের ভূমিকা ভুলে যাননি। তাই ক্যাম্পাসে নিজেকে নিরাপত্তা দেবেন বলে তিনি পুলিশ ডাকেননি। এরপরেও কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতির প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিয়ে। শিক্ষামন্ত্রী যে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতেই সেই পথে যাননি, এজলাসে ও বাইরে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হল রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে।

যাদবপুরে বাম-অতিবাম ছাত্র সংগঠনের হামলায় আক্রান্ত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বারবার মানবিক পথেই গোটা পরিস্থিতি সামলানোর কথা জানিয়েছিলেন। এরপরেও যাদবপুর (Jadavpur University) মামলার শুনানিতে শিক্ষামন্ত্রীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি দাবি করেন, মন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি ছিল। এমনকি শিক্ষামন্ত্রীর সাংবিধানিক পদাধিকারী হিসাবে প্রোটোকলের (protocol) নিরাপত্তা কেন নেননি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এই মামলাতেই আগে বিচারপতি ঘোষ গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাফ জানিয়েছিলেন, ছাত্ররা এভাবে হামলা চালাতে পারে তার কোনও আন্দাজ তাঁর ছিল না।

তবে শুক্রবারের শুনানিতে ফের একবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই আইনজীবী তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) সাফ জানান, সর্বত্র ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রোটোকলের নিরাপত্তা যে শিক্ষামন্ত্রী ব্যবহার করেন না, তা তিনি আদালতে তুলে ধরেন। কিন্তু বিচারপতি তাতে কান দিতে না চাইলে এজলাসেই তর্ক শুরু হয়। পরে কল্যাণ জানান, এই বিচারপতির এজলাসে তিনি মামলা লড়তে আগ্রহী নন।

আদতে পুলিশ যে নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছিল ও শিক্ষামন্ত্রীও (Minister of Education) যে মানবিক পরিচয় দিয়েছেন, তা স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। গোটা ঘটনায় দায় ছাত্রদের দাবি করে তাঁর সাফ কথা, যদি বেশি পুলিশ নিয়ে ঢুকতেন তখন বলা হতো পুলিশ রাজ। তিনি অভিভাবকের মতো পুলিশ নিয়ে যাননি। পুলিশ অত্যন্ত কর্তব্যপরায়ণভাবে ব্রাত্য বসুকে ওখানে ঢোকায়। ছাত্ররা যদি গাড়ির উপর উঠে হনুমানের মতো আচরণ করেন তাহলে তার দায় ছাত্রদের নিতে হবে।