তৃণমূলের হুঁশিয়ারিতে ২৫ বছরের ঘুম ভাঙল কমিশনের! তিনমাসে এপিক সংশোধনের বার্তা

২০০০ সালে এপিকের (Epic card) সিরিজ এসেছিল। সেই সময়ে নিযুক্ত আধিকারিকরা সঠিক সিরিজ (series) ব্যবহার না করায় এই সমস্যা

এতদিন কী ঘুমিয়ে ছিল নির্বাচন কমিশন। ২০০০ সাল থেকে এপিক কার্ডে (epic card) সমস্যা জানা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে নিজেদের বিজ্ঞপ্তিতে নিজেরাই জানালো কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) প্রকাশ্যে কমিশনের দুর্নীতি ফাঁস করে দেওয়ার পরে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরোনো শুরু হল। প্রথমে ভুল স্বীকার ও পরে তিনমাসে এপিক কার্ড সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিলো কমিশন। তবে যে নতুন মডিউলে বিজেপি কমিশনকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে এপিক দুর্নীতি ময়দানে লঞ্চ করেছিল, তাতে কমিশনের এই উত্তরে সন্তুষ্ট নয় তৃণমূল। একদিকে কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তিকে আই ওয়াশ (eye wash) বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল কর্মীরা বুথস্তরে যেভাবে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ করছেন তাও চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হল।

শুক্রবার কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হল, তিন মাসের মধ্যে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড (duplicate epic card) সমস্যার সমাধান করবে তাঁরা৷ এই প্রসঙ্গেই কমিশনের তরফে জানানো হল, এপিক কার্ডের নম্বর যাই হোক না কেন, ভোটার তালিকায় নাম থাকা একজন বৈধ ভোটার তাঁর নিজের নির্দিষ্ট বুথেই ভোট দিতে পারবেন৷ অন্য কোথাও ভোটদানের অধিকার পাবেন না তিনি৷ তবে এর পাশাপাশি কমিশন এটাও দাবি করে, ২০০০ সালে এপিকের (Epic card) সিরিজ এসেছিল। সেই সময়ে নিযুক্ত আধিকারিকরা সঠিক সিরিজ (series) ব্যবহার না করায় এই সমস্যা হয়েছিল। কার্যত নিজেদের এত বছর ঘুমিয়ে থাকার দায় ২৫ বছর আগের আধিকারিকদের উপর চাপানোর চেষ্টা চালিয়েছে কেন্দ্রের কমিশন।

এই সমস্যার সমাধানে এতদিন কাজ করতে না পারার অজুহাত হিসাবে কমিশন পেশ করেছে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নিজস্ব নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত হয়। এবার ডুপ্লিকেট (duplicate) এপিক নম্বরধারীদের ইউনিক এপিক নম্বর তিনমাসের মধ্যে দেওয়া পরবর্তীকালের নতুন ভোটাদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বনের কথা জানানো হয়েছে। সেখানেই তৃণমূলের দাবি, এই বিজ্ঞপ্তি ও প্রক্রিয়াকরণ শুধুই আইওয়াশ (eye wash)। রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের (Saket Gokhale) দাবি, গত এক সপ্তাহে দু দু বার আইওয়াশের চেষ্টা করল নির্বাচন কমিশন৷ কমিশনের হ্যান্ড বুকে সাফ জানানো হচ্ছে কোনওভাবেই ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড সম্ভব নয়৷ তারপরেও কিভাবে এই ডুপ্লিকেট সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন করেন দেশের ৯৯ কোটি ভোটারের মধ্যে কতগুলি ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড (duplicate epic card) আছে, তার তথ্য এখনও পেশ করেনি কমিশন।

বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সাকেতের আরও দাবি, ২০০০ সাল থেকে সমস্যা হলে ২৫ বছর ধরে কেন চুপ কমিশন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে না ধরলে কী এভাবেই কাজ চালিয়ে যেত কমিশন, তাঁর প্রশ্ন। এরপরেও কমিশন যে ডুপ্লিকেট এপিক বদলে তিনমাসের ডেডলাইন নিজেরাই বেধে দিয়েছে, তা তৃণমূলের নৈতিক জয়, দাবি তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। তিনি দাবি করেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের নৈতিক জয়। বিজেপি একটা নতুন স্ক্যাম নিয়ে ঢুকেছিল, বাংলার মাটি আলাদা মাটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ধরেছেন।