কর্নাটকে বিদেশি তরুণী-সহ গণধর্ষিতা ২! কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে

কংগ্রেস (Congress) শাসিত রাজ্যে প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা। ভারতে বেড়াতে এসে ধর্ষিতা হলেন বিদেশিনী। বেঙ্গালুরু থেকে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার দূরে কর্নাটকের (Karnataka) কোপ্পালে ঘুরতে গেছিলেন ইজরায়েলের এক তরুণী। সঙ্গে ছিলেন আমেরিকান এক যুবক। তাঁরা সেখানকার এক হোমস্টে-তে উঠেছিলেন। মহারাষ্ট্র এবং ওড়িশা থেকে আরও দুই পর্যটকও সেখানেই রুম বুক করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে হোম স্টে-র মালকিন তুঙ্গভদ্রা নদীর খালের ধারে বিদেশিনী সহ বাকি পর্যটকদের রাতে সৌন্দর্য দেখাতে নিয়ে যান। তারপরই তাঁদের উপর হামলা করা হয়। গণধর্ষিতা হন ইজরায়েলের তরুণী এবং হোমস্টের মালকিন। নির্যাতিতারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি তিন যুবকের মধ্যে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ খালের ধারে দাঁড়িয়ে আকাশের তারা দেখছিলেন পর্যটকেরা। সেই সময় বাইকে করে তিন যুবক এসে তাঁদের থেকে টাকা ধার চান। বিদেশিনী-সহ বাকিরা তা দিতে অস্বীকার করলে পর্যটকদের মারধর করার পাশাপাশি দুই তরুণীকে পাশে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন তিন যুবক। তাঁদের জখম করে পাশের খালে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আমেরিকান যুবক এবং মহারাষ্ট্রের সেই পর্যটক দ্রুত জল থেকে উঠে আসতে পেরেছিলেন। কিন্তু ওড়িশার যুবক উঠতে পারেননি। কোপ্পালের এসপি জানিয়েছেন, সানাপুরের কাছে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে কংগ্রেস রাজ্যের নারী নিরাপত্তা। যেভাবে বিদেশি পর্যটকদের আক্রান্ত হতে হয়েছে তাতে কর্নাটক পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার দিকে আঙুল উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া না দিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে জাতীয় কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব। যেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকটা মুহূর্তে নারী সুরক্ষা এবং সচেতনতায় অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সবার আগে অপরাধীর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সেখানে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস রাজ্যের নিন্দনীয় ঘটনায় ফের ‘হাত’ শিবিরের চূড়ান্ত প্রশাসনিক ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠলো।