নারী দিবসে আজ মহানগরীতে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের একগুচ্ছ কর্মসূচি 

আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day)। রাজ্য জুড়ে মহিলা ক্ষমতায়ন এবং স্বনির্ভরতার কথা সকলের সামনে তুলে ধরতে মহানগরীতে পায়ে পা মেলাবেন কয়েক হাজার নারী, নেতৃত্বে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC Women cell) । শুক্রবার রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Sashi Panja) জানিয়ে দেন যে শনিবার মিছিলে থাকবেন তৃণমূলের মহিলা নেত্রী, কর্মী এবং সদস্যরা। সঙ্গে যোগ দেবেন সাধারণ মানুষ। নারী দিবস (Womens Day) এবছর সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ করল। আজকের মিছিলে থিম, ‘নারী দিবস পঞ্চাশ বছরে, দিদি বাংলার ঘরে ঘরে’। এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ রবীন্দ্রসদনে জমায়েত করবে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। বিকেল চারটে নাগাদ মিছিল শুরু হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলার কারণে রবীন্দ্রসদন থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত এই মিছিলে মাইকে স্লোগান বা ভাষণ দেওয়া হবে না। তবে বর্ণাঢ্য এই মিছিলের যাত্রাপথে একাধিক হোডিং ব্যানারের দেখা মিলবে।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ২০১১ সালে রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মহিলা ক্ষমতায়নের উন্নতির দিকে জোর দিতে শুরু করেন। বাংলার মেয়েরা আজ আর কারোর ওপর নির্ভরশীল নয়। পড়ুয়া জীবনে কন্যাশ্রী থেকে পরবর্তীতে রূপশ্রী প্রকল্পের সৌজন্যে তরুণী বা যুবতীদের আজ কারোর কাছে হাত পাততে হয় না। লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প কিংবা স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সাহায্যে গৃহবধুরাও আজ উপার্জনশীল। দেশের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসেই মহিলা বিধায়ক, সাংসদের সংখ্যা সব থেকে বেশি। এছাড়া পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের সদস্যদের মধ্যেও নারী আধিক্য লক্ষ্য করার মতো। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (WB CM) সব সময় নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন। আজকের মিছিলে সেই কথাই তুলে ধরা হবে। সঙ্গে থাকছে বাউলসহ লোকসংস্কৃতির প্রতিনিধিরাও। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যেভাবে মহিলাদের সব ধরনের সাহায্য দিয়ে তাঁদের স্বনির্ভর করে তুলেছেন, সকলের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন তাতে ৮ই মার্চ প্রকৃত অর্থেই বলা যায়, ‘নারী দিবস পঞ্চাশ বছরে, দিদি বাংলার ঘরে ঘরে’।