পদত্যাগের জন্য গত কয়েক সপ্তাহ চাপে থাকার পর শেষমেশ প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। একই সঙ্গে তিনি নিজের দল কানাডার লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন।

এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ এক অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে।২০১৩ সালে এমন এক সময় তিনি লিবারেল পার্টির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যখন দলটি গভীর সঙ্কটে পড়েছিল। সে সময় কানাডার হাউস অব কমন্সে তৃতীয় অবস্থানে নেমে গিয়েছিল লিবারেল পার্টি।সেখান থেকে দলকে টেনে তুলে ২০১৫ সালে ক্ষমতায় বসেন ট্রুডো।এরপর থেকে টানা গত নয় বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন লিবারেল পার্টির এই নেতা।


কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম জানা যাবে রবিবারই। দেশের লিবারাল পার্টির নেতা নির্বাচিত হবেন ভোটাভুটির মাধ্যমে। জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে আছেন মোট চার জন। তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে এগিয়ে মার্ক কার্নে। ব্যাঙ্ক অফ কানাডার গভর্নর ছিলেন তিনি। পরে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের প্রথম অ-ব্রিটিশ গভর্নর হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কার্নে ছাড়াও দৌড়ে আছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। গত ডিসেম্বরে ট্রুডোর মন্ত্রিসভা থেকে তিনি ইস্তফা দেন। তার পর থেকেই ট্রুডোর বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভায় এবং তার দলের অন্দরে অসন্তোষ প্রকট হয়ে উঠেছিল। কার্নে এবং ক্রিস্টিয়াই লিবারাল পার্টিতে ট্রুডোর বিরুদ্ধে ‘প্রকৃত’ প্রতিদ্বন্দ্বী।

এছাড়া আরও দু’জন লড়াইয়ে আছেন। তারা হলেন করিনা গোল্ড। কনিষ্ঠতম সদস্য হিসাবে কানাডার মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিলেন তিনি। আর আছেন শিল্পপতি ফ্র্যাঙ্ক বেলিস।কানাডার লিবারাল পার্টির প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার সদস্য নতুন নেতা নির্বাচনের উদ্দেশ্যে গোপন ভোট দিয়েছেন। তার ফলাফল ঘোষণা করা হবে রবিবার।কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা চার নেতাই কট্টর ট্রাম্পবিরোধী। প্রচারে বার বার তাঁদের মুখে ট্রাম্পের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।


–

–

–

–

–

–

–

–