ছাত্র আন্দোলনের নামে বিচ্ছিন্নতাবাদের ষড়যন্ত্র। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে ‘আজাদ কাশ্মীর’ দেওয়াল লিখনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে ‘আজাদ কাশ্মীর’ স্লোগান নজরে আসতেই রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু করা হয়। অভিযোগ, দেশকে অশান্ত করতে ছাত্র আন্দোলনকে ব্যবহার করছে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি।

১ মার্চ ওয়েবকুপার বৈঠককে কেন্দ্র করে থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় (Jadavpur University)। বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হন অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রও। সেই ঘটনায় আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রও। এ ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। তখনই নজরে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি বিল্ডিংয়ের ৩ নম্বর গেটের কাছে দেওয়ালে ‘আজাদ কাশ্মীর’ স্লোগান লেখা। বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের স্লোগানের নেপথ্যে বহিঃশত্রুর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আশঙ্কা পুলিশের। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৫২/৬১ বি ধারায় অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদ, হিংসা ও নাশকতার ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

তবে যাদবপুরের ক্যাম্পাসে এই ধরনের স্লোগান নতুন নয়। এর আগেও আজাদ কাশ্মীর স্লোগানকে ঘিরে যাদবপুর উত্তপ্ত হয়। সেই সময় রিপোর্ট তলব করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। এদিনের অভিযোগ সম্পর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি কিশলয় রায় বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা একাজ করেছে তাঁরা মানসিকভাবে অসুস্থ। পুলিশের গোটা ভূমিকার প্রশংসা করছি।”
আরও খবর: অবৈধ কাজের ‘শাস্তি’! পানিহাটির পুরপ্রধান মলয়কে পদত্যাগের কড়া নির্দেশ ফিরহাদের

এবিষয়ে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের (TMCP) সুরই শোনা যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের SFI-এর লোকাল কমিটির সম্পাদক শৌর্যদীপ্ত রায়ের মুখে। তিনি বলেন,”আমি মনে করি আজাদ কাশ্মীর বলা মানে সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ। এটা বারবার বলা মানে অন্যান্য দাবিগুলো ছোট করা।”
–

–

–

–

–

–

–
