সময়সীমা ২০৩০ সাল। টার্গেট ৫০ লক্ষ চারা তৈরি। এবার আলু (Potato) উৎপাদনে শনিব্য হতে নতুন পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলল বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। বিশেষ পদ্ধতিতে বছরে ৫০ লক্ষ আলুর চারা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। ২০৩০ সালের মধ্যে আলু চাষে বিপ্লব আনতে চলেছে বাংলা।

আলু চাষে স্বনির্ভর হতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কৃত্রিম উপায়ে ৫০ লক্ষ আলুর চারা তৈরি করা হবে। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি চারা থেকে আলুর উৎপাদন বহুগুণ বাড়বে বলে আশাবাদী সরকার। একইসঙ্গে উৎপাদিত আলুর গুণমানও খুব ভালো হবে এবং তা হবে ভাইরাসমুক্ত।


রাজ্য সরকার (State Government) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বানানো চারা জেলায় জেলায় পাঠানো হবে। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলকে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সমতলের বেশকিছু ক্ষেত্র ছাড়াও পাহাড়ি এলাকায় আলু চাষ বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এপিকাল রুটেড কাটিং পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে চারা। নদিয়ার কৃষ্ণনগর ও মেদিনীপুরের কৃষি গবেষণাগারে ৫০ লক্ষ চারা তৈরি হচ্ছে। এ জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। এই এপিকাল রুটেড কাটিং পদ্ধতিতে তৈরি আলুর চারায় উৎপাদনে গতি এসেছে। এই বিপুল পরিমাণ আলুর চারা তৈরির ফলে ভিন রাজ্যের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না। বর্তমানে আলু (Potato) বীজের সিংহভাগটাই অন্য রাজ্য থেকে আসে। রাজ্যের নয়া পরিকল্পনা সফল হলে এ ব্যাপারে স্বনির্ভর হবে বাংলা।
আরও খবর: বিধানসভার চেয়ার ভাঙিনি, প্রমাণ করলে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেব: বিজেপির শঙ্করকে চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর

অ্যারোপনিক্স পদ্ধতিতে আগে আলুর যারা উৎপাদন শুরু হয়েছিল। এক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে উৎপাদন হলেও, তা সময় ও খরচসাপেক্ষ। তাই এবার এপিকাল রুটেড কাটিং পদ্ধতিতে আলু চাচি বিপ্লব আনতে চাইছে রাজ্য।
গবেষণাগারে টিস্যু কালচার করে চারা তৈরির পর তা থেকে ২৯টি গ্রিন হাউস ও ৫৫৫টি নেট হাউসে একাধিক চারা গাছ তৈরি করা হচ্ছে। আলু চাষে পঞ্জাবের উপর নির্ভরশীল বাংলা। রাজ্যের মোট চাহিদার অর্ধেক প্রায় দেড় লক্ষ মেট্রিক টন আলুর বীজ আসে পঞ্জাব থেকে। এখন কৃত্রিম উপায়ে তৈরি হাইটেক আলুর চারা বাংলাকে পঞ্জাব নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেবে। ইতিমধ্যে কৃত্রিম উপায় তৈরি করা চারা থেকে কুফরি হিমালিনী, কুফরি সুখ্যাতি, কুফরি নীলকন্ঠ সহ বিভিন্ন প্রজাতির আলু উৎপাদন শুরু হয়েছে।


–

–

–

–

–

–

–
