বিতর্কিত মন্তব্যের জের। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) শো-কজ করল বিধানসভার পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। বৃহস্পতিবার, একথা জানিয়েছেন বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী তথা বিধানসভার তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Shobhandev Chatterjee)।

গত বছর নভেম্বর মাসেই একাধিক ‘বেফাঁস’ মন্তব্যের জন্য হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) শো-কজ় করেছিল দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। সূত্রের খবর, এর পরেও মন্তব্যে লাগাম না দেওয়ায় ভরতপুরের বিধায়কের উপরে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের (TMC) শীর্ষ নেতৃত্ব। বিরোধী দলনেতার সংখ্যালঘু-বিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হুমায়ূন বলেন, “আমার কাছে আগে আমার জাতি, তার পর দল। আমার জাতিকে আক্রমণ করলে আমি চুপ থাকব না।“ এই মন্তব্য দল অনুমোদন করেনি।
আরও খবর: বিশ্ব-স্বীকৃতি! এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বাস্থ্যসাথী’

বিধানসভায় সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ (Nirmal Ghosh) জানান, তৃণমূল সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যের ভিডিও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তা খতিয়ে দেখে দলের নীতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগেই সিদ্ধান্ত হয়, কেউ দল বিরোধী কাজ, মন্তব্য করলে- তাঁকে রেয়াত করা হবে না। এর আগেই শোকজ করা হয় আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল হুমায়ুনের।

রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা একটি বিশেষ মন্তব্য নিয়ে আলোচনা হয়। শুভেন্দুর জবাবে তৃণমূল নেতারা যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তা খুশি করতে পারেনি মমতাকে। এ নিয়ে মন্ত্রীদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিশেষ করে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ন কবীরের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “কারও ভালো না লাগলে দরজা খোলাই আছে । চলে যেতে পারেন। তবে এভাবে দলকে কলিমালিপ্ত করা হলে তা সহ্য করা হবে না।” এরপরই দলের নেতাদের হুমায়নকে সাসপেন্ড করতে নির্দেশ দেন।জানা গিয়েছে, কেন এই ধরনের মন্তব্য করেছেন তা 24 ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে হুমায়নকে। দল তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট না হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তবে একা হুমায়ুন কবির নন, রাজ্যের আরেক মন্ত্রীর আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। সতর্ক করেছেন তাঁকেও। সংখ্যালঘু মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “দলের সিনিয়র মন্ত্রী হিসাবে এমন কিছু বলবেন না যাতে দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়।”
–

–

–

–

–

–

–

–