দোলের দিন ফাঁকা শান্তিনিকেতন, সোনাঝুরির রাস্তায় বড় গাড়িতে নিষেধাজ্ঞা !

সবুজের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেই জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে বন দফতর।

দোলের দিনে সোনাঝুরি হাটে আবির খেলা নিষিদ্ধ করেছিল বন দফতর। তাই এ বার সোনাঝুরি হাটেও আবির বা রং খেলা গেল না। বন দফতরের তরফে সেখানে দোল খেলার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্যানার টাঙানো হয়েছে আগেই। জানানো হয়েছিল, সোনাঝুরি জঙ্গলে আবির খেলা, গাড়ি পার্কিং, ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এতদিন বিকল্প বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হতো সোনাঝুরি হাটেও। চলতি বছর তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে দোলের দিনে প্রচুর ভিড় হয়। দোলের দিনে দেদার রং খেলা হলে জঙ্গল নষ্ট হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। সবুজের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেই জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে বন দফতর।

দোলের দিন কার্যত ফাঁকা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তথা শান্তিনিকেতন। কোনওভাবেই যাতে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনের পরিবেশ নষ্ট না হয়, সে কারণে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে নিরাপত্তার জন্য। সোনাঝুরি খোয়াইয়ের জঙ্গলের রাস্তায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না কোনও ধরনের বড় গাড়ি। ফলে সমস্যায় পড়েছেন বাইরে থাকা আসা পর্যটকদের অনেকেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে শেষ বার বিশ্বভারতীর আশ্রম মাঠে সকলকে নিয়ে বসন্তোৎসব হয়েছিল। সেই বছর অতিরিক্ত ভিড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বিশ্বভারতীয় বহু জিনিসপত্র। শুধু তাই নয়, ক্যাম্পাস থেকে প্রচুর মদের বোতলও উদ্ধার হয়েছিল। এরপর সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। ২০২০ সালে করোনার সময়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল দোল উৎসব। এর পর ২০২১ সালে বিশ্বভারতীয় বসন্তোৎসবে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো। তার পর থেকে ক্যাম্পাসের মধ্যে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।