প্রস্তুত নাসা, তবু ফিরতে দেরি হতে পারে সুনীতাদের

পৃথিবীতে অবতরণের পরেই সুনীতাদের পরীক্ষা শেষ নয়

শেষ মুহূর্তে, স্পেসএক্স তাদের ফ্যালকন ৯ রকেটের বহু প্রতীক্ষিত উৎক্ষেপণ সফল করেছে। যা চার সদস্যের ক্রুকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। ক্রু-১০ মিশনটি নাসার নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা। নাসা এবং স্পেসএক্সের মতে, ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯এ-তে গ্রাউন্ড সাপোর্ট ক্ল্যাম্প আর্মে হাইড্রোলিক সিস্টেমের সমস্যার কারণে উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়েছিল।

ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন বলেন, মহাকাশ অভিযানে এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।  তিনি বলেন, দেরির কারণ, হাইড্রোলিক সার্কিটে ত্রুটি। যা গাড়িটিকে প্যাডের সঙ্গে সংযুক্ত করছে। এখন, এই ধরনের ঘটনা ঘটে কারণ, অবশ্যই, প্রতিটি সতর্কতার সঙ্গে তারা লঞ্চ প্যাডে যায়। শেষ ১৫ মিনিট বা তারও বেশি সময় কম্পিউটারকে দেওয়া হয়, এবং যদি এটি স্থির থাকে, তাহলে আপনাকে পরীক্ষা করতে হবে কী ঘটছে। এটি সম্ভবত তাদের বলেছে যে এটিই কারণ। আপনি এই ধরনের মিশনে ঝুঁকি নিতে পারেন না।  তারা সমস্যাটি চিহ্নিত করেছে এবং তারা এটির দিকে নজর দিচ্ছে।

পৃথিবীতে অবতরণের পরেই সুনীতাদের পরীক্ষা শেষ নয়। এত দিন মহাকাশে থাকার পর পৃথিবীতে ফিরলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে নভশ্চরদের। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন ধরে মহাকাশে শূন্য মাধ্যাকর্ষণে থাকার কারণে নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় হেরফের ঘটে। শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে ওজন। তা ছাড়া, দীর্ঘ কাল আইএসএস-এর শূন্য মাধ্যাকর্ষণে ভাসমান অবস্থায় থাকার কারণে পা মাটির সংস্পর্শে আসে না। ফলে পায়ের তলা নরম হতে হতে শিশুদের পায়ের মতো সংবেদনশীল হয়ে যায়।তারা মহাকাশে শুকনো ফল আর সবজি খেয়েছেন।গুড়ো দুধ, পিৎজা, শ্রিম্প ককটেল, রোস্টেড চিকেন, টুনা মাছ খেয়েছেন তারা।

 

আপাতত বুধবারের আগে ফিরছেন না সুনীতা-সহ চার মহাকাশচারী। রবিবার সুনীতাদের ফেরাতে মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছোয় ড্রাগন। তাতে ছিলেন আরও চার নভশ্চর। তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতারা। আগামী কিছু দিনের জন্য মহাকাশ স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে ওই চার মহাকাশচারীর উপর।