এপিক কার্ড দুর্নীতিতে (EPIC scam) অবশেষে নতি স্বীকার করে ভুল সংশোধনের পথে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। আগে একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা বলা হলেও এবার এপিক কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্ত করার ঘোষণা কমিশনের। চাপে পড়ে এই ব্যবস্থা নিলেও কমিশনের এত বড় দুর্নীতির পরে এই ইস্যুতে সবার আগে সরব হওয়া বাংলা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ভরসা রাখছে না কমিশনের পদক্ষেপের উপর।

এপিক কেলেঙ্কারি নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উদাহরণ তুলে ধরে গোটা দুর্নীতি ফাঁস করার পরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। একের পর এক প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ভুল যে হয়েছে তার স্বীকার করেছিল কমিশন আগেই। কিন্তু কোন পথে ভুল সংশোধন তার সদুত্তর দিতে পারেনি কমিশনের একটিও বিজ্ঞপ্তি। সেই সংশোধনীতে এবার আঁধারকেই(Aadhaar) নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ হিসেবে দাবি কমিশনের। ফলে এপিক কার্ডের (EPIC card) সঙ্গে আধার কার্ড (Aadhaar card) সংযুক্তিকরণের পথে নির্বাচন কমিশন।

যদিও চাপে পড়ে কমিশনের নেওয়া এই সিদ্ধান্তকে ভরসা করছে না বাংলা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অভিযোগে মান্যতা আগেও দিয়েছিল। আজ আরও স্পষ্ট হয়ে গেল।এটা একটা বিরাট দুর্নীতি। ঘুরপথে বিজেপি ভোট মেশিনারিকে কীভাবে অপকৌশলে চালনা করা যায় তার জন্য এপিক কেলেঙ্কারি (EPIC scam) করে বসে আছে। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কি না তার সদুত্তর দিতে পারেনি কমিশন। এটা হতে পারে কীভাবে, অন্য রাজ্যের লোক বাংলার ভোটার তালিকায় ঢুকছে, তার সদুত্তর দিতে পারেনি। এটা তো অনলাইনে হচ্ছে। এখন চাপে পড়ে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন। আমরা ভরসা রাখছি না। আমাদের তরফ থেকে স্ক্রুটিনি সমস্ত রকমভাবে জারি থাকবে।

–

–

–

–

–

–

–

–
