মোদি সরকারের জমানায় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা যে উঠে যেতে বসেছে, তা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির (Nationalised bank) দুরবস্থাতেই প্রমাণিত। গোটা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা (banking system) ধুঁকছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের (loan defaulter) থেকে আনাদায়ী অর্থের কারণে, তা বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। অথচ মোদি সরকার ব্যস্ত মহাকুম্ভ নিয়ে আলোচনায়। রাজ্যসভায় (Rajyasabha) বাজেট প্রশ্নোত্তর পর্বে ফের সাধারণ মানুষের স্বার্থে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে সরব তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Ritabrata Banerjee)। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, সরাসরি প্রশ্ন ঋতব্রতর।

তথ্য পেশ করে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের (loan defaulter) বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নিচ্ছে মোদি সরকার, লিখিতভাবে জানানোর দাবি জানালেন ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় (Ritabrata Banerjee)। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, দেশের ২০ জন ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করুক কেন্দ্রীয় সরকার। এই সব ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে স্পষ্ট করতে হবে সরকারকে, দাবি জানান তিনি।

গত ৫ বছরে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক (Nationalised bank) থেকে ১২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মুকুব করা হয়েছে, তথ্য তুলে ধরেন ঋতব্রত। তাঁর আরও দাবি, মোট প্রদত্ত ঋণের খাতে সরকারের ঘরে ফেরত এসেছে মাত্র এক লক্ষ ২৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ধার্য্য মোট ঋণের মাত্র দশ শতাংশ ফেরত পেয়েছে সরকার। এই প্রসঙ্গে সংসদে মোদি সরকার কেন কোনও সুস্পষ্ট উত্তর দিচ্ছে না তা সোজাসুজি জানতে চান তৃণমূল সাংসদ।

–

–

–

–

–

–

–

–
