Wednesday, December 3, 2025

ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি বাংলায় চলবে না, জবাব দেবে মানুষ : মুখ্যমন্ত্রী

Date:

Share post:

বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন (Budget session of Assembly)। তার আগে বুধবার (১৯ মার্চ) নাম না করে বিজেপি ও ‘গদ্দার’কে ধুইয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন যতই ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করার অপচেষ্টা হোক না কেন, বাংলা এর জবাব দিতে প্রস্তুত। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC ) আপোষহীন লড়াইয়ের বার্তাও দিলেন মমতা।

‘যাঁরা বলে বেড়াচ্ছেন হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই তারা কি একবারও খোঁজ নিতে যান যখন বিহার থেকে ত্রিপুরা থেকে বা নর্থ ইস্ট থেকে বাংলায় এসে চিকিৎসা করায়। বাংলা সবাইকে আপন করে নেয়, তবে কেন অন্য জায়গায় বাঙালিদের অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। মানুষ তৈরি হচ্ছে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য। মনে রাখবেন, কোনও পলিটিক্যাল পার্টির ম্যান্ডেট আমরা চাই না। মানুষের ভালবাসাই আমাদের কাজের অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দেয়।’ বুধবার এভাবেই বিধানসভায় বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে জবাব দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তির বাণী উদ্ধৃত করে মমতা মনে করিয়ে দেন, বাংলা চিরকালই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতেই বিশ্বাস করে এসেছে। আসলে বাংলায় বিভাজনের রাজনীতির ঠাঁই নাই। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির উগ্র সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির বিরুদ্ধে আরও জোরদার লড়াইয়ে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।

 

spot_img

Related articles

জেলা সফরে বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী: বুধের সভার জন্য প্রস্তুত মালদহের গাজোল

মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষেই জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদে বহরমপুরে। বুধবার সকালে  তিনি হেলিকপ্টারে করে উড়ে...

নিভৃতে… খাদ্যহীন! যার জন্য দেশে সূ্ত্রপাত ‘নারী আন্দোলনে’র, সেই ‘মথুরা’ই দুরবস্থায় মহারাষ্ট্রে

সেই সালটা ১৯৭২। এখন ২০২৫। মাঝে পেরিয়েছে ৫৩ বছর। এর মধ্যে তাঁকে ভুলেই গিয়েছে গোটা দেশ। হঠাৎ মনে...

বুধেই ভাগ্য নির্ধারণ! বাংলাদেশে বসে ফেরার অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা সোনালি

বাংলাদেশে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ফলে জেলমুক্তি ঘটেছে। কিন্তু নিজের দেশে, নিজের ঘরে ফেরা কবে? আজও জানেন না বীরভূমের...

প্রশাসনিক গতি ফেরাতে যাদবপুরে দুই মাসের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সেলিম বক্স মন্ডল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্ট্রার শূন্য থাকার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছিল। কর্মসমিতির বৈঠক হলেও রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকায়...