ফের খবরের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)।এবার মেন হস্টেলে ফের র্যাগিংয়ের (Ragging) অভিযোগ উঠল। আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নাকি আবার চিহ্নিত ‘র্যাগার’।স্নাতকোত্তর পড়ুয়াকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল এক দল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। র্যাগিং বিরোধী প্রচার করায় তাকে ‘র্যাগ’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সঙ্গে তার পরিবারকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি।

অভিযোগ, চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফিল্ম স্টাডিজের এক ছাত্রকে ঘরে বন্দি করে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থা করা হয়। শুধু এখানেই থেমে থাকেনি র্যাগাররা।অভিযোগ, আক্রান্ত ছাত্রের মাকে ধর্ষণেরও হুমকি দেওয়া হয়। ছাত্রকে হুমকি দিয়ে জোর করে ‘কিছুই হয়নি’ মুচলেকাও লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুকে পোস্টও দিতে হয়েছে।
এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।জানা গিয়েছে, ১৮ মার্চ বিকাল ৫টা নাগাদ মেন হস্টেলে যান ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্র। সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্রের সঙ্গে তার বচসা হয়।এই অশান্তির পর স্নাতকোত্তর বিভাগের ওই ছাত্র মেন হস্টেলে হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এর সঙ্গেই উঠে এসেছে র্যাগিংয়ের বিষয়টিও। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ফের সামনে এসেছে ২০২৩ সালের অগাস্টের ঘটনা। মেন হস্টেলেই র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের! নদিয়ার বাসিন্দার মৃত্যুর পর তোলপাড় হয় রাজ্য।

র্যাগিং, যৌন হেনস্থা ও মৃত্যুতে নাম জড়িয়ে রয়েছে এদের অনেকেরই। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও দোষী সাব্যস্ত এরা। তবে আদালতের রক্ষাকবচ থাকায়, ইউনিভার্সিটি কোনওভাবেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি।ফিল্ম স্টাডিজ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্র অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।

–

–

–

–

–

–

–

–
