জল সংকট কাটছে না উত্তর হাওড়ার ১৪টি ওয়ার্ডে (Water crisis in Howrah)। আগের থেকে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে হাওড়ার শিবপুরে (Shibpur, Howrah)। কলকাতা পুরসভার (KMC) পাশাপাশি এবার কোন্নগর পুরসভা থেকেও জলের ট্যাংকার পাঠানো হলো হাওড়ায়। সোমবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার আশা প্রশাসনের। যে সমস্ত ওয়ার্ডে জল একেবারেই নেই সেইসব এলাকা পরিদর্শন করেন হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী (Sujay Chakraborty)। প্রয়োজনে বেলগাছিয়া রিজার্ভার বাতিল করা চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান তিনি। বিধায়ক জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে যত দ্রুত সম্ভব মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন। নতুন করে ধস নামার পরিস্থিতি নেই বলে দাবি পুরসভার।

একদিকে জলের সমস্যা অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।জোড়া ফলায় বিদ্ধ হাওড়ার বেলগাছিয়া এলাকার বাসিন্দারা। জলের পাইপলাইন মেরামতির কাজের জন্য বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ফলে সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা। গত বৃহস্পতিবার হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে ধস নামে এবং প্রায় দেড় বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রাস্তায় ফাটল দেখা দেয়। শনিবার সকালে ভাগাড়ের আবর্জনার গাড়ি এলে স্থানীয়রা বাধা দেন। সামান্য উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আমি ওরা বলছেন এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ছে তাঁদের।মধ্য হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় (Arup Roy) এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বলেন, “একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে। কাজ মিটলেই সংযোগ দেওয়া হবে। বাড়িতে ফাটল ধরার বিষয়টি নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। ” যতদিন না হাওড়ায় পানীয় জলের সংকট মেটে ততদিন KMC ট্যাঙ্কার পাঠাবে। উত্তরপাড়া কোন্নগর থেকেও জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা চলছে।ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারের ৩৫০জনকে কাছাকাছি একটি স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে প্রশাসন। জোর কদমে চলছে জলের পাইপ লাইন মেরামতির কাজ।

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–