এক বিরল পদক্ষেপে তদন্ত চলাকালীন বিচারপতির বাড়ির ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করল দেশের শীর্ষ আদালত। দিলি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার (Yashwant Varma) বাড়িতে আগুন লাগার ছবি প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (CJI Sanjeev Khanna) নির্দেশে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে শুরু হল তদন্ত। আপাতত সমস্ত বিচারকাজ থেকে বিচারপতি ভার্মাকে বিরত রাখারও নির্দেশ জারি করা হল।

১৪ মার্চ রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ বিচারপতি যশোবন্ত বার্মার বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা দেশে। দমকল ও দিল্লী পুলিশ (Delhi police) ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর সময় যে ছবি ও ভিডিও করেছিল সেই ভিডিও সংগ্রহ করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্র উপাধ্যায় (Justice Devendra Upadhyay) দিল্লি পুলিশের থেকে পাওয়া সেই ভিডিও ও ছবি পেশ করেন সুপ্রিম কোর্টে।

শুক্রবার সেই রিপোর্ট পেশ হওয়ার পরই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে শনিবার জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। জানানো হয়, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (CJI Sanjeev Khanna) নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এই ঘটনায়। কমিটিতে রয়েছেন পঞ্জাব হরিয়ানার প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশের প্রধান বিচারপতি জিএস সন্ধ্যাওয়ালিয়া এবং কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি অনু শিবরামন।

দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) প্রধান বিচারপতির শুক্রবারের রিপোর্টের আংশিক অংশ ঢেকে গোটা রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। আর সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির প্রথম প্রশ্ন, কিভাবে বিচারপতি পদে থাকা অবস্থায় তাঁর বাসস্থানে নগদ টাকা থাকে? এই টাকার সূত্র কি? সেই সঙ্গে প্রশ্ন করা হয়, ১৫ মার্চ টাকা ওই বাড়ি থেকে কে সরিয়েছিলেন।


দিলি হাইকোর্ট (Delhi High Court) যশবন্ত ভার্মাকে এই প্রশ্নগুলি করার পর তিনি যথারীতি দাবী করেন, তাঁর স্টোররুমে কিভাবে ওই টাকা এল, তা তিনি জানতেন না। ঘটনার দিন তিনি ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না, মধ্যপ্রদেশে গিয়েছিলেন। পরে তিনি পোড়া টাকার ছবি শুধুমাত্র দেখতে পেয়েছিলেন।


কার্যত তাঁর উত্তরে যে সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court), তা স্পষ্ট শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে কমিটি (enquiry committee) গঠন করে তদন্ত শুরু হওয়াতেই। তদন্ত শুরু হওয়ার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি দিলি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন এই সময়ে সমস্ত বিচারকাজ থেকে বিচারপতি ভার্মারে বিরত রাখা হয়।

–

–

–
–
