যে জঘন্য কাণ্ড তিনি ঘটিয়েছেন, তা প্রকাশ্যে আসার পর চমকে গিয়েছে গোটা দেশ। প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শুধু খুন করেই থেমে থাকেন নি। দেহ লোপাট করতে ১৫ টুকরো করে সেই দেহাংশ লুকিয়ে রেখেছিলেন ড্রামের ভিতর। তারপর নির্দ্বিধায় প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে মেতে ওঠেন হোলি পার্টিতে।মীরাটের(MIRAT) মুসকান রাস্তোগীর এবং সাহিল শুক্লার(SAHIL SUKLA) এই ষড়যন্ত্র জানার পর, নিন্দার ঝড় সর্বত্র। এমনকী, মেয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন খোদ বাব-মা।স্বামীকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মুসকান রস্তোগীর( MUSKAN RASTOGIR) সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন তার বাবা-মা!

এই আবহে আদালতে আইনি লড়াই লড়তে সরকারি আইনজীবী চাইলেন মীরাটের মুসকান।স্বামী সৌরভ ভরদ্বাজকে অবলীলায় খুন করেন মুসকান!অভিযুক্ত দু’জনই বর্তমানে মীরাটের জেলে বন্দি। জেল সুপার বীরেশ রাজ শর্মা জানিয়েছেন, মুসকান এবং সাহিলকে আলাদা ব্যারাকে রাখা হয়েছে।তিনি জানিয়েছেন, শনিবার মুসকান তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। তিনি তার ব্যারাকে ফোন করে যোগাযোগ করেন। তখন তিনি জানান, তার পরিবার তার হয়ে মামলা লড়বে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তাই তাকে যেন সরকারের তরফে কোনও আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আইন অনুযায়ী তাই তারা আদালতে সেই মর্মে একটি আবেদন পাঠাচ্ছেন। কারণ, প্রত্যেক অভিযুক্তেরই আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

উল্লেখ্য, মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভের ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এই হাড়হিম করা মীরাট কাণ্ডের সূত্রপাত৷গত ৪ মার্চ খুন হন মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি ও তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা জানিয়েছে, প্রথমে সৌরভের খাবারে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে তারা। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে সৌরভকে খুন করে দেহ ১৫ টুকরো করে বড় ড্রামে ভরে দেয় মুসকান ও সাহিল৷নৃশংস ঘটনা যাতে কারও নজরে না-আসে, তাই সিমেন্ট দিয়ে ড্রামের মুখ ভর্তি করে দেয় তারা৷ এরপর মুসকান তাদের পাঁচ বছরের মেয়ে পিহুকে মায়ের কাছে রেখে সাহিলের সঙ্গে মানালিতে ঘুরতে চলে যায়৷ যাওয়ার সময় বলে যায় সৌরভের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে যাচ্ছে৷ এরপরই মানালিতে গিয়ে বিয়েও সেরে ফেলে ধৃত সাহিল ও মুসকান৷ পরিবার এবং পুলিশকে চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো এবং ছবি আপলোড করতে থাকে সৌরভের ফোন থেকে।

খুনের অভিযোগে ধৃত মুস্কান এবং সাহিলের মধ্যে মাদকাসক্তি ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে,জেলে আসার কিছু সময় পর থেকেই তারা অস্থির হয়ে পড়েন। প্রথম রাতেই মুস্কানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। জেলের চিকিৎসকরা তার শারীরিক পরীক্ষা করে জানান, মুসকান মাদকে আসক্ত। তার পরেই সাহিলের চিৎকার শোনা যায়। মাদক চেয়ে জেলের ভিতর ছটফট করতে থাকেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তারা দু’জনেই নিয়মিত মাদকের ইঞ্জেকশন নিতেন। শুধু তা-ই নয়, জেলে খাবারের প্রতিও তাদের অনীহা দেখা গিয়েছে। বার বার মাদক দাবি করছেন। জেল সুপার জানিয়েছেন, নেশামুক্তি কেন্দ্রের মাধ্যমে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই ধৃতেরই কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।


–


–

–

–

–
–

–

–