ফের বিদেশে চাকরি করতে গিয়ে আইনের জালে আটক এক ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার। এবার তথ্য চুরির অভিযোগে গুজরাটের ইঞ্জিনিয়ারকে আটক করেছে কাতারের(KATAR) প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কাতারের ভারতীয় দূতাবাস। গোটা বিষয়টি নিয়ে কাতারের প্রশাসন, ওই ইঞ্জিনিয়ারের পরিবার এবং আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারতীয় দূতাবাস।ওই ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের(INDIAN ENGINEER) নাম অমিত গুপ্তা। তিনি আইটি ফার্ম টেক মাহিন্দ্রার একজন সিনিয়র কর্মী।

তার মা পুষ্পা গুপ্তা জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি কাতারি কর্তৃপক্ষ ছেলেকে আটক করে। কিন্তু তাদের ছেলে নির্দোষ এবং তার বিরুদ্ধে তথ্য চুরির মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ছেলের মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন তারা। ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনা নজরে রয়েছে এবং সবরকম সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, অমিত গুপ্তা বেশ কয়েক বছর আগে চাকরি নিয়ে কাতারে যান। তার পরিবারের দাবি, চলতি বছরের জানুয়ারির একেবারে প্রথম দিকে বেশ কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে যায়। খাবার খাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলন অমিত, তখনই এই ঘটনা ঘটে। অমিতের বাবা-মা থাকেন গুজরাটের বডোদরায়। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অমিত এক বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি কাতারেই রয়েছেন।

তার বাবা-মা জানিয়েছেন, সপ্তাহে একবার করে তাদের কাছে ছেলের ফোন আসে। বাবা-মায়ের দাবি, বার বার ফোনে অমিত বলেন তাকে যেন দ্রুত বের করার ব্যবস্থা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে অমিতের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু ভারতীয় দূতাবাস কোনও সুরাহা করতে পারবে কি? এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। সেই অপেক্ষায় দিন কাটছে অমিতের বাবা-মায়ের। অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ হেমাঙ্গ যোশী বলেন, বরোদার বাসিন্দা অমিত গুপ্তা গত ১০ বছর ধরে কাতারে টেক মাহিন্দ্রায় কর্মরত।কাতার প্রশাসন তাকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, অমিতের বাবা-মা এক মাসের জন্য কাতারে গিয়েছিলেন এবং ছেলের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দেখা করতে পারেননি।


টেক মাহিন্দ্রার একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি, তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছি। আমরা উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় করছি এবং যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে চলছি। আমাদের সহকর্মীর সুস্থতা নিশ্চিত করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।


তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। ২০২২ সালেও কাতারে চরবৃত্তির অপরাধে ভারতীয় নৌসেনার আট প্রাক্তন আধিকারিককে আটক করা হয়েছিল। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তারা। ২০২৩ সালে কাতারের আদালত মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল আট জনকে। সেই নির্দেশ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে টানাপোড়েন চলেছে।অবশেষে গত বছর মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন আট ভারতীয় নৌ সেনা।

–

–

–
–

–

–