Sunday, November 9, 2025

ডিজনিল্যান্ড থেকে ফিরে মাংস কাটার ছুরি দিয়ে নাবালককে খুন মায়ের!

Date:

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘কুপুত্র যদি বা হয়, কুমাতা কদাপি নয়’। কিন্তু বহুলশ্রুত এই কথাগুলো মিথ্যে প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা সারিথা রামারাজু (Saritha Ramaraju)। মাংস কাটার ছুরি দিয়ে এগারো বছরের নাবালকের গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করে খবরের শিরোনামে ৪৮ বছর বয়সী মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায়, গ্রেফতার মহিলা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর রামারাজু ক্যালিফোর্নিয়া ছেড়ে চলে যান। কিন্তু ছেলে কার কাছে থাকবে এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে চূড়ান্ত ঝামেলা হয়, আইনি লড়াই চলে। কিন্তু শেষমেশ তিনি সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারেননি। সেই আক্রোশ থেকেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

সারিথা রামরাজুর ছেলের বয়স এগারো বছর। আদালতের নির্দেশে তাঁর দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছেন বাবা। তবে মাসে মাসে মায়ের কাছে গিয়েও সময় কাটাতেন ওই নাবালক। দিন কয়েক আগে ছেলেকে নিয়ে ডিজনিল্যান্ডে ঘুরতে গিয়েছিলেন সারিথা। সান্তাআনা শহরে গিয়ে তিনদিনের পাসও কিনেছিলেন। ফিরে এসে ছেলের গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, ১৯ মার্চ সকালে রামারাজু ৯১১-এ ফোন করে খুনের কথা নিজেই স্বীকার করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাবালকের দেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি ডিজনি উপহারের জিনিস এবং একটি মাংস কাটার ছুরিও পাওয়া গেছে। পরে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

Related articles

ফর্ম বিলি করতে গিয়ে ব্রেন স্ট্রোক! SIR-আতঙ্কে মৃত্যু এবার BLO-র

কারো নাম নেই ভোটার তালিকায়, কারো পরিচয়ে ভুল। এই সব আতঙ্কে যখন রাজ্যে একের পর এক সহনাগরিকদের মৃত্যু...

সংকটে ভারতীয় ফুটবল, কঠিন সময়ে সরব হলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই তারকা

ভারতীয় ফুটবলে বিপণন করার কেউ নেই।দেশের সর্বোচ্চ লিগ না হলে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ভারতীয় ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।...

কীভাবে দত্তাবাদে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী: এবার তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগ

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা। সোনার ব্যবসা করতেন নিউটাউনের দত্তাবাদে। দেহ পাওয়া গেল যাত্রাগাছির কাছে। খুনে নাম জড়ালো জলপাইগুড়ির...

‘ভূত বিড়াল’ কি শুধুই কল্পনার কাহিনী? বাস্তবে কোথায় দেখা গেল চাঁদনি রাতের বিড়াল

কালো নয়। ডোরা কাটাও নয়। বন বিড়াল। তবে সাদা। দেখা যায় শুধুই চাঁদনি রাতে। মানুষের থেকে ভূতের সঙ্গেই...
Exit mobile version