সুজয়কৃষ্ণর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট, অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও

মানসিক ও শারীরিক অবনতির কারণে জেল থেকে রেহাই পেয়েছেন তিনি

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিনের মেদায় বাড়ানো হল। এই নির্দেশ  বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের। চিকিৎসার জন্য তার অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ প্রায় এক মাস বাড়াল আদালত। আগামী এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

গত শুক্রবার অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।এমনকি তার বাড়িতে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়েও নালিশ জানায় তার আইনজীবী। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মানসিক ও শারীরিক অবনতির কারণে জেল থেকে রেহাই পেয়েছেন তিনি। তবে ইডির মামলায় একেবারে রেহাই পেলেও, সিবিআই মামলায় এখনও ঝুলে রয়েছেন কাকু। সোমবার সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুজয়ের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করল উচ্চ আদালত।

জানা গিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধির উপর নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন বলে অভিযোগ তার। সুজয়কৃষ্ণের দাবি, বাড়ির দোতলার দখল নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সারাদিন এসি চালিয়ে বসে আছে। শুধু তাই নয়, তার আরও দাবি, নীচে শৌচাগার থাকা সত্ত্বেও ঘরের শৌচাগার ব্যবহার করছে বাহিনী। এমনকি, হাসপাতালে গেলে পিছু পিছু বাহিনীও হাজির হয়ে পড়ছে সেখানে।

এদিন সুজয়কৃষ্ণকে স্বস্তি দিয়ে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বাড়ির দরজার বাইরে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। বাড়ির বাইরে অস্থায়ী নির্মাণ করা হবে। সেখানে জওয়ানদের বসার এবং থাকার জায়গা থাকবে। গরমে জওয়ানদের জন্য ফ্যানের বন্দোবস্ত করতে হবে।হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, প্রয়োজনে সুজয়কৃষ্ণর বাড়িতে যেতে পারবেন চিকিৎসক, আত্মীয়রা। ব্যাঙ্কেরও একজন যেতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩০ মে নিয়োগ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্ট আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে তাকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখায় সিবিআই। সেই মামলাতেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী জামিন পান তিনি। শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাকে জামিন দেওয়া হয়। তবে একই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে নজরদারির জন্য সাদা পোশাকের কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ান মোতায়েন করতে পারবে সিবিআই।