এক যুবকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে কিডনি পাচারের (kidney smuggling) বড় চক্রের সন্ধানে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, অন্তত ১০ জনকে সুদে (interest) টাকা ধার দেওয়ার জালে ফাঁসিয়ে কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে এই পাচারকারীরা (smugglers)। আর সেই জাল ছড়িয়ে উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh)। সুদের কারবারি বিকাশ ঘোষ ওরফে শিতলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচারচক্রের শিকড় খুঁজে বের করতে তৎপর উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসাত জেলা পুলিশ।

ভিনরাজ্য থেকে কিডনি পাচারচক্র (Kidney smuggling) চালানো হত, এমনটা সন্দেহ ছিল পুলিশের। এবার অশোকনগর থেকে গ্রেফতার শিতলকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এলো পাচারচক্রে উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh) যোগ। যোগীরাজ্যের দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিডনি পাচারই ছিল তার মূল ব্যবসা। যেখানে অন্তত ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কিডনি বিক্রি করতেন বাসিন্দারা। তারই একটা মোটা অংশ যেত দালাল শিতলের পকেটে।

গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলির অসুবিধার সুযোগ নিয়ে টাকা ধার দিত শিতল। তার সুদ (interest) ছিল ৩৬০ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই সেই সুদ ও আসল ফেরৎ দেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলত সব হারানো মানুষগুলো। এরপরই কিডনি বিক্রির পরামর্শ ও পথ তৈরি করে দিত শিতলই। তবে কিডনি বিক্রিতে প্রয়োজনীয় অনুমতি মিলত কোথা থেকে, তা নিয়ে এবার তদন্তে বারাসাত পুলিশ (Barasat police district)।

কিডনি দান করতে গেলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আবশ্যক। সেই সঙ্গে কোনও রকম আর্থিক বিনিময়ের বিরুদ্ধেও থাকে নজরদারি। সেই সব পেরিয়ে কীভাবে চলত এই কিডনি দান-এর মাধ্যমে পাচার চক্র (smuggling racket) চলত, সেই উৎস সন্ধান করছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) দালালদের ভূমিকা কী ছিল, তা যাচাই করতে ভিন রাজ্যে গিয়ে তদন্তেরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে। তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে বারাসাত থানার অন্তর্গত অন্তত ১০ জনের কিডনি পাচারের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তবে সেই সংখ্যাটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র বলে অনুমান পুলিশের।


–


–

–

–

–
–

–
