
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) লন্ডন (London) শহরের এক অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিন গেল মঙ্গলবার। লন্ডনের শিল্প সভায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে দেশের শিল্পপতিরা একবাক্যে বললেন, মমতার আমলে বাংলায় বদলে গিয়েছে শিল্প উন্নয়নের চেহারা। আর লন্ডনে ভারতের হাইকমিশনারকে পাশে নিয়ে বাংলায় বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তথ্য দিয়ে জানালেন, কেন পশ্চিমবঙ্গ হবে বিনিয়োগের গন্তব্য।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) নেতৃত্বে বাংলার শিল্পের পুনর্জন্ম হয়েছে। তাঁর শিল্পনীতির প্রতিটি ধাপ লগ্নিবান্ধব। এদিন লন্ডনে শিল্পবৈঠকে শিল্প কর্ণধারদের প্রবল প্রশংসার মধ্যে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ব্রিটিশ (British) লগ্নি বাড়ানোর ডাক দিলেন, তখন তাতে বিপুল সাড়া পড়ল। মুখ্যমন্ত্রীর সবিস্তার ব্যাখ্যায় আহ্বান, বাংলায় বিনিয়োগ করুন। ক্ষতি হবে না। লাভ হবে আপনাদের। তিনি বলেন,”আগের সরকারের জন্য গৌরব হারিয়েছিল বাংলা, এখন পুনরুদ্ধার করে দেশের সেরার দিকে এগোচ্ছি।”

বাংলায় শিল্পের জোয়ার। শিল্পবান্ধব পরিবেশে নষ্ট হয় না কাজের দিন। লন্ডনের মাটিতে এই চিত্র তুলে ধরেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তথ্য দিয়ে জানালেন, ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার যেখানে ৬.৩৭ শতাংশ, বাংলায় সেটা ৬.৮০ শতাংশ। দেশে বেকারত্ব বাড়ছে। আর বাংলায় ৪৭ শতাংশ বেকারত্ব কমাতে পেরেছি আমরা।

প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলায় নারী ক্ষমতায়নের উপর জোর দিচ্ছেন মমতা। এদিনের শিল্প সভাতে বাংলার সেই দিকটিও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “আমরা মহিলা ক্ষমতায়নে দেশে এক নম্বরে। অন্যেরা কথায় ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের কথা বললেও আমাদের দলে ৩৯ শতাংশ নির্বাচিত সাংসদ মহিলা। আমি নিজে সাত বারের সাংসদ, তিন বারের বিধায়ক।”


শিল্পসভায় ডেউচা-পাঁচমির উল্লেখ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘ডেউচার কাজ শেষ হলে আগামী ১০০ বছর বিদ্যুৎ নিয়ে কোনও চিন্তা থাকবে না।’’ তাঁর আমলে বাংলার অর্থনৈতিক তথা জীবনযাপনের মানের উন্নতির পরিসংখ্যান দেন মমতা। জানান, ২০১১ সালে যখন তাঁরা সরকারে এসেছিলেন, তখন দারিদ্র্যসীমার নীচে ছিলেন ৫৭ শতাংশ মানুষ। আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ শতাংশে।


এদিনের শিল্প বৈঠকে লন্ডনের শিল্পমহলের প্রায় দেড়শো প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ব্যাংকিং , অর্থনৈতিক সংস্থা, টেকনোলজি সংস্থা, কনসাল্টিং, এনার্জি, ম্যানুফ্যাকচারিং, রিটেল, শিক্ষা সংস্থা সহ একাধিক নামি দামী সংস্থা যোগ দিয়েছিল।

এছাড়াও গ্লোবাল ইনফ্রা, জিইডি ইউ, বিহোল্ড. এআই, বিটি, ভিসুভিয়াস, আইএজি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন গ্রুপ এর মত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলার শিল্প সচিব বন্দনা যাদব।


_
_

_

_