দুর্নীতির অভিযোগ, হাওড়ার শিক্ষক নেতা সিরাজুলকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

হাওড়া স্কুলের শিক্ষক নেতা সিরাজুল ইসলামের (Sirajul Islam) চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajashekhar Mantha) ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার বিচারপতি জানান, সিরাজুল দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন। কোনওভাবেই চাকরিতে তাঁকে চাকরিতে রাখা যাবে না। শ্লীলতাহানির মামলা আর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে FIR হয়েছিল। কিন্তু তার প্রভাব যাতে চাকরিতে না পড়ে সেই কারণেই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিরাজুল। কিন্তু বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুনানি শুরু হওয়ার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই জানিয়ে দেন অভিযুক্ত শিক্ষকের নিয়োগই সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই আজ থেকে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল।২৪ বছরের মাইনে ফেরত দিতে হবে সিরাজুলকে।

বাম আমলে ২০০১ সালে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছিল শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে। তখন হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছিল সিরাজুলের। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে চাকরি করে যাচ্ছিলেন। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর বলে অভিযোগ। গত ১৩ মার্চ হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এই বিষয়টি উল্লেখ করেন। এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সিরাজুল শিক্ষা সংক্রান্ত পদে রয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত, প্রশ্ন ওঠে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। কোর্টের ভর্ৎসনার পরই প্রায় সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া সদর থানায় সিরাজুলের বিরুদ্ধ এফআইআর দায়ের হয়।এই FIR-কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত। আজ সেই মামলার শুনানিতেই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।