রাজ্যে পেঁয়াজের যোগান বাড়াতে কৃষি বিপণন দফতর মোট ৩২০ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন ৮ টি সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করেছে। বলাগড়, পোলবা, কালনা-২, পূর্বস্থলি, নওদা, সাগরদিঘি, হাঁসখালি এবং গাজোল ব্লকে এই নতুন কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এগুলির ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে ৪৮০ মেট্রিক টনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কৃষি বিপণন দফতর।

অন্য দিকে, গত বারের ৩৬০০–র সঙ্গে এ বছর চাষিদের বাড়িতে ব্যক্তিগত আরও ১৪০০ পেঁয়াজের গোলা তৈরি হয়েছে। এই ৫০০০ গোলায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। ফলে সরকারি এবং ব্যক্তিগত মিলিয়ে প্রায় ৬৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। ফলে পেঁয়াজের জন্যে যেমন ভিন রাজ্যের মুখাপেক্ষী হতে হবে না, তেমনই দামের ফাটকাবাজিও বন্ধ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই গুদামগুলিতে রসুনও সংরক্ষণ করা হবে। রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ সহ অন্যান্য শাকসব্জি – সুনিশ্চিত কার হচ্ছে । সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যে সুফল বাংলার মাধ্যমে কৃষি বিপণন দপ্তর ১৫০০ কুইন্টাল পেঁয়াজ কিনেছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লে ভিন রাজ্য থেকে কেনা পেঁয়াজ সাধারণের স্বার্থে ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করে সুফল বাংলা।এখন শীতের পেঁয়াজ বাজারে আসছে। সুফল বাংলা সরাসরি সেই পেঁয়াজ চাষিদের থেকে কিনছে। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের কুইন্টাল–প্রতি পাইকারি দাম ১৬০০-১৮০০ টাকা। আবার রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি কুইন্টাল–প্রতি ২২০০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনছে।

পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলে অসাধু ব্যবসায়ীরা মজুত রেখে চড়া দামে বেচতে পারবেন না। কৃষি বিপণন দপ্তর জানাচ্ছে, কেউ ব্যক্তিগত ভাবে পেঁয়াজের সংরক্ষণাগার তৈরি করলে দপ্তর ৫০ শতাংশ (৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত) ভর্তুকি দেবে। অন্য ফসলের মতো পেঁয়াজ হিমঘরে রাখা যায় না। মূলত শুষ্ক আবহাওয়ায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে হয়। মাটি বা অন্য কিছুর সংস্পর্ষে না এলে এ ভাবে পেঁয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।


–


–

–

–

–
–

–

–