মাদকাসক্ত সাহিলের বহু মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, নাতির-কাণ্ডে হতাশ ঠাকুমা

মীরাটের জেলে সাহিলের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তার অশীতিপর ঠাকুমা।

মীরাটের হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। যেভাবে প্রেমিক সাহিলের(sahil) সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামী সৌরভকে খুন করার পর ১৫ টুকরো করে ড্রামে ভরে দেহাংশ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে, তা নাড়া দিয়ে গিয়েছে গোটা দেশকে। তবে যত দিন যাচ্ছে, ততই নানান নতুন তথ্য সামনে আসছে। যেমন, ধৃত সাহিলকে  নিয়ে ফের আর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। সাহিলের ঠাকুমা দাবি করলেন, মাদকের নেশা তো ছিলই, বহু মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সাহিলের।মাদকের নেশাতেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে হয়তো, হতাশার সুর ঠাকুমার গলায়।গ্রেফতারির পর মুসকান রাস্তোগীর(muskan rastogi) বাড়ির লোকজন তার সঙ্গে দেখা করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকী, সাহিলের পরিবারের কেউও তার গ্রেফতার হওয়ার পর তার সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। একমাত্র বুধবার মীরাটের জেলে সাহিলের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তার অশীতিপর ঠাকুমা।

তিনি জানান, নাতির জন্য কিছু পোশাক এবং খাবার নিয়ে এসেছেন। একই সঙ্গে মৃত সৌরভ রাস্তোগীর জন্য তার গলায় হতাশার সুর। বৃদ্ধা জানান, বুলন্দ শহরের বাড়িতে তার সঙ্গে থাকত সাহিল।বছরখানেক আগে সাহিলের মা মারা গিয়েছেন। তার বাবা নয়ডায় থাকেন। তিনি এক বা দুই মাস অন্তর বুলন্দশহরের বাড়িতে  আসতেন।

বৃদ্ধা আরও জানান, সৌরভ হত্যাকাণ্ডে সাহিল গ্রেফতার হওয়ার পর, তার বাবা আর বুলন্দশহর মুখো হননি। তবে সাহিল যে সবসময় নেশা করে থাকত, তা বৃদ্ধা স্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, সাহিলকে মাদকের পাশাপাশি মহিলার নেশাও পেয়ে বসেছিল।

মীরাটের(mirat) জেল সুপার বীরেশ রাজ শর্মা জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী সাহিলের সঙ্গে ঠাকুমাকে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে। তবে সাহিলের সঙ্গে জেলের ভেতরে দুর্ব্যবহার করার যে অভিযোগ উঠেছে, তা তিনি মানতে চাননি। ১০ দিন পর জেলের ভিতর কোনও কাজে নিযুক্ত করা হবে সাহিলকে।এদিকে মুসকান সরকারি আইনজীবী চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন।