গুণগত মানের পরীক্ষায় ডাহা ফেল করল আরও ১০৪টি ওষুধ। কাশির সিরাপ থেকে শুরু করে প্যারাসিটামল-সহ নার্ভ-হার্টের ওষুধ— সব কিছুই রয়েছে তালিকায়। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো ফেল করা ওষুধের তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে এ-রাজ্যের দুটি কোম্পানির ওষুধও।

ওষুধ যেমন রোগ সারায়, তেমনই ওষুধের মধ্যেও থাকে রোগ। সেই কারণেই ল্যাবে ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা করতে গিয়েই গুচ্ছের ওষুধ পড়ে বাদের তালিকায়। পরীক্ষায় ফেল করা ওষুধের তালিকা প্রকাশ করে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলি ব্যবহারের অযোগ্য। ওষুধগুলি স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস নয়। একের পর এক ওষুধ এভাবে অবব্যবহারযোগ্য প্রমাণিত হওয়ায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। সাধারণের মনে প্রশ্ন জাগছে, ওষুধও জাল! কীভাবে বুঝব কোনটি ঠিক আর কোনটি জাল?

কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড মোট চার দফায় ৪৯৭টি ওষুধকে চিহ্নিত করেছে অযোগ্য বলে। সেই তালিকায় রয়েছে প্রেসারের ওষুধ থেকে শুরু করে প্যারাসিটামল, নার্ভ ও হার্টের ওষুধ, সাধারণ স্যালাইন, কাশির সিরাপ, পক্সের টিকা, প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রতিরোধক, পেইন কিলার, লিভারের অসুখ, স্ত্রীরোগে ব্যবহৃত ওষুধও।

১০৪টি ফেল করা ওষুধের মধ্যে রাজ্যের ল্যাবে ফেল করেছে ২৮টি ওষুধ। এর মধ্যে কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে ফেল করেছে ২৭টি এবং রাজ্য ড্রাগ ল্যাবে ফেল করেছে ১টি ওষুধ। ফেলের তালিকায় রাজ্যের দুটি কোম্পানির ওষুধ রয়েছে। একটি সংস্থা হল পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস। আরেকটি সংস্থা শ্রীরামপুরের স্ট্যান্ডার্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।


আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার এসটিএফের! গ্রেফতার ২


–

–

–

–
–

–

–
–
–
–