প্রয়াগরাজে বিমান বন্দর নিয়ে নির্বাচনের আগে বহু ঢেঁড়া পিটিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ থেকে নরেন্দ্র মোদি। বিমান বন্দরকে ঘিরে বায়ুসেনার কার্যক্রমেও কমতি নেই। এবার সেই বায়ুসেনার কলোনির (Air Force colony) ভিতরে ঢুকে মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারকে গুলি করে খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এলো যোগী রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার বাস্তব বর্তমান পরিস্থিতি। কড়া নিরাপত্তা বলয়ে থাকা কলোনিতে ইঞ্জিনিয়ারের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় কার্যত আতঙ্ক ছড়িয়েছে প্রয়াগরাজে (Prayagraj)।

পুলিশ সূত্র অনুসারে, শনিবার ভোর রাত চারটে নাগাদ এয়ার ফোর্স কলোনির (Air Force colony) পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে এক অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ী। ইঞ্জিনিয়ার্স কলোনির তারের বেড়া কেটে তাকে কলোনির ভিতরে ঢুকতে দেখা যায়। এরপরই সেই আততায়ীকে ইঞ্জিনিয়ার সত্যেন্দ্রনাথ মিশ্রর সরকারি কোয়ার্টারের দিকে যেতে দেখা যায়।

নিহত ইঞ্জিনিয়ারের পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে অন্যদিনের মতোই নিজের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ। ভোর রাতে তার ঘরের দিক থেকে গুলির (firing) আওয়াজ পান পরিবারের লোকেরা। সেই সঙ্গে তাঁর চিৎকারে ঘুম থেকে উঠে তাঁরা ঘরে এসে বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সত্যেন্দ্রনাথকে আবিষ্কার করেন। ততক্ষণে জানালা দিয়ে গুলি চালিয়ে পালিয়ে গিয়েছে আততায়ী।

তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনায় কলোনির সিসিটিভি-র ফুটেজ (CCTV footage) খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ। সেখানেই অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর বিষয়টি সামনে আসে। তবে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) মতো শহরে দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ নিয়ে এরপরই প্রশ্ন উঠেছে। উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ে ঢুকে গুলি চালানোর সাহস কীভাবে হয় আততায়ীর, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সঙ্গে সেনার নিজেদের কলোনির নজরদারিতে গাফিলতিও স্পষ্ট হয়েছে এই ঘটনায়।

–

–
–

–

–

–

–
