রহস্যমৃত্যু নয়, খুনই করা হয়েছে বেলেঘাটার যুবককে: নতুন মামলা পুলিশের

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকেরাও সেই কথাই জানান

আত্মহত্যা নয়, খুনই করা হয়েছে বেলেঘাটার যুবককে। সেইমতো খুনের ধারায় মামলা রুজু করে রহস্যমৃত্যুর তদন্ত করছে বেলেঘাটা থানার পুলিশ। তবে কে বা কারা যুক্ত, তা এখনও স্পষ্ট নয়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মৃত্যু আত্মহত্যার ঘটনা কিনা, প্রথমে সেই বিষয়টি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মৃতদেহে এমন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, যা নিজের পক্ষে করা সম্ভব নয় বলেই পুলিশের দাবি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকেরাও সেই কথাই জানান। এরপরে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলেঘাটার কালিমুদ্দিন সরকার লেনের বাসিন্দা বছর সাতাশের ওই যুবকের নাম রোহন মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানকার একটি চারতলা বাড়ি থেকে রোহনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রথমে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে এটি খুনের ঘটনাও হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে জানান। এর পরেই পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।

বছরখানেক আগে বেলেঘাটারই বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রোহনের। কিন্তু কয়েক মাস আগে সেই স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেন।দাদার সঙ্গেও বিশেষ সখ্য ছিল না রোহনের। অধিকাংশ সময়েই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকতেন তিনি। কয়েক মাস আগেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন রোহন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে ঘরে বসে মদ্যপান করছিলেন রোহন। এরপরে সন্ধ্যায় রোহনের এক কাকা তার ঘরে গিয়ে দেখেন, মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রোহন। তার পিঠে গভীর ক্ষত। ওই কাকাই এরপরে রোহনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আনেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।

এর পরে নিজের ঘরেই শুয়ে পড়েন রোহন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে খাওয়ার জন্য ডাকতে যান রোহনের এক ঠাকুমা। কিন্তু তিনি ঘুমোচ্ছেন ভেবে ফিরে আসেন। এর পরে সন্ধ্যায় তাকে ডাকতে গিয়ে এক আত্মীয় দেখেন, রোহনের শরীরে প্রাণ নেই।