মায়ানমারের ভূমিকম্পকে যারা সামান্য বলে ভাববেন, তাঁরা ভুল ভাবছেন, দাবি মার্কিন জিওলজিকাল সার্ভের (USGS)। দুই মহাদেশ ও উপমহাদেশের প্লেটের (tectonic plate) মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ভূমিকম্প হয়। এর প্রাবল্য ৩০০ পারমাণবিক বোমা (atom bomb) বিস্ফোরণের সামিল, দাবি জিওলজিকাল সার্ভের বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই প্রথম কম্পন ও তার আফটার শকে মায়ানমারে (Mayanmar) মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৬০০। এরপরেও আবার কম্পনের (aftershock) পূর্বাভাস দিচ্ছেন ভূতত্ত্ববিদরা।

মার্কিন জিওলজিকাল সার্ভের (USGS) পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে শুক্রবার সকালে ভূপৃষ্ঠের ভারতীয় প্লেট (Indian plate) ও ইউরেশিয়ার প্লেটের (Eurasian plate) মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভারতীয় প্লেটটি (Indian plate) উত্তরের দিকে ওঠার চেষ্টা করলে পাশাপাশি অবস্থিত দুই প্লেটের সংঘর্ষ হয়। ভারতীয় প্লেটের পশ্চিম পাশে ও ইউরেশিয়ার প্লেটের পূর্বপাশে থাকা সংযোগস্থলে সংঘর্ষ হয়। ভূপৃষ্ঠের দুই পাতের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার অর্থ ভূগর্ভের অনেক নিচে কম্পনের উৎপত্তি। যা চিন্তায় রেখেছে ভূতত্ত্ববিদদের।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গোটা প্লেটের সঞ্চালনে ভূমিকম্পের (earthquake) উৎপত্তি মাত্র ১০ কিমি গভীরে। যদি তা মাটি থেকে ১০০ কিমি গভীরে হত, তা হলেও কম্পন অনুভূত হত। সেখানে উৎপত্তি থেকে মাটির দূরত্ব বেশি না হওয়ায় প্রভাব পড়েছে ভয়াবহ। থাইল্যান্ডের (Thailand) ব্যাংককে বিরাট অট্টালিকা থেকে নেইপেইদয়ে শতাব্দী প্রাচীন স্থাপত্যও ভেঙে পড়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। আগামী একমাস বিভিন্ন সময়ে এই দুই পাতের মধ্যে ফের কম্পনের সম্ভাবনা থাকছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। যার ফলে মাসখানের অফটার শকের (aftershock) ভার বহন করতে হতে পারে বলেও জানানো হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই শুক্রবার ৭.৭ মাত্রার কম্পনের পরে ওইদিনই ৬.২ মাত্রার আফটার শক (aftershock) টের পাওয়া গিয়েছিল। শনিবার সকালে ভারতীয় পাতে ফের কম্পন অনুভূত হওয়ায় আফগানিস্তানে মৃদু ভূমিকম্প হয়। আবার শনিবার বিকালের দিকে ফের ৩.৮ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয় ভারতের উত্তর-পূর্ব ও মায়ানমার এলাকায়। মনিপুরের (Manipur) নোনি জেলায় ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। সেক্ষেত্রেও মাটি থেকে মাত্র ১০ কিমি গভীরে কম্পন অনুভূত হয়। সেক্ষেত্রে মায়ানমার (Mayanmar) ও লাগোয়া এলাকায় আবার আফটার শকের আশঙ্কা যে সত্যি, তাও প্রমাণিত।


–


–

–

–

–
–

–
