আবার সেই মন্দালয়! ৪.৬ মাত্রার আফটার শকে কাঁপল মায়ানমার

দুপুরে ফের প্রবল কম্পন (aftershock) অনুভূত হয়। মন্দালয় (Mandalay) থেকে ২৭ কিমি দূরে ছিল তার উৎসস্থল। নতুন করে কম্পনে ঘর ছাড়া মানুষের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা

উদ্ধার কাজ শুরু হতেই মায়ানমারে জমতে শুরু করেছে মৃতের স্তূপ। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭০০। তারই মধ্যে রবিবার দুপুরে প্রবল কম্পন প্রতিবেশী দেশে। এবার তীব্রতা ভারতীয় সিসমোলজি বিভাগের (National Centre for Seismology) স্কেলে ৪.৬ রিখটার স্কেল। যদিও মার্কিন জিওলজিকাল সার্ভের (USGS) হিসাব অনুসারে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫। নতুন করে ভূমিকম্প উদ্ধারকাজে আরও বাধা তৈরি করল বলেই দাবি মায়ানমারের।

আগেই মার্কিন জিওলজিকাল সার্ভের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল আগামী একমাস আফটার শক (aftershock) চলতেই থাকবে মায়ানমারের মান্দালয় এলাকায়। যেভাবে ভূপৃষ্ঠের পাতে সংঘর্ষ হয়েছে তার প্রভাব যে সুদূর প্রসারী, তা রবিবার সকাল থেকেই টের পেয়েছে মায়ানমার। ইউএসজিএস-এর তথ্য অনুসারে রবিবার সকালে একটি আফটার শক অনুভূত হয় মন্দালয় (Mandalay) থেকে ১০৯ কিমি দূরে শৈব শহরের কাছে। সম্প্রতি জুংটার হামলায় ছারখার শৈব শহরে ভূমিকম্পের পরে ঘর ছাড়া মানুষের আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।

এরপরই দুপুরে ফের প্রবল কম্পন (aftershock) অনুভূত হয়। মন্দালয় (Mandalay) থেকে ২৭ কিমি দূরে ছিল তার উৎসস্থল। নতুন করে কম্পনে ঘর ছাড়া মানুষের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই সাড়ে তিন হাজার মানুষ ভূমিকম্পে আহত। এই পরিস্থিতিতে মায়ানমারের শিশুদের জীবন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। হু-এর দাবি, যুদ্ধ বিধ্বস্ত মায়ানমারে বহু শিশু অনাথ হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে তাদের মৌলিক খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের অনিশ্চয়তা আরও বাড়ল।

ভারত, চিন ও থাইল্যান্ড ইতিমধ্যেই সব রকম সাহায্য পাঠানো শুরু হয়েছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে (Mayanmar)। ভারতের পক্ষ থেকে মন্দালয়ে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করে সাহায্য করা হচ্ছে। তবে ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্ধারকারীদের। গোটা মন্দালয় শহর শ্মশানের চেহারা নেওয়ায় বড় ক্রেন বা যন্ত্রপাতি বহন করাও দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আনুমানিক ২ হাজার বাড়ি, ৬৭০টি মনাস্ট্রি ও দুটি বড় সেতু ভেঙে পড়ার পরিসংখ্যান জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে (Bangkok) বহুতল ভেঙে এখনও প্রায় ৫০ জন আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ তে। তার মধ্যেই প্রতিবেশী মায়ানমারের দুরবস্থায় পাশে দাঁড়িয়েছে থাইল্যান্ড। দুই দেশে ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার জন্য রেড ক্রসের (Red Cross) পক্ষ থেকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানানো হয়েছে গোটা বিশ্বের কাছে।