ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে লাশের স্তূপ, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা জুন্টাবিরোধী সামরিক গোষ্ঠীর

প্রকৃতির রোষানলে বিপর্যস্ত মায়ানমার (Myanmar Earthquake effect)। রবিবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে মৃতের সংখ্যা প্রায় দুহাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। চারিদিকে শুধুই ধ্বংসের চিহ্ন আর লাশের স্তূপ। আহত প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি। তছনছ মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কাজ সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবার মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরোধী গোষ্ঠী পিডিএফ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছে। পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (PDF) জানিয়েছে রবিবার ৩০ মার্চ থেকে আগামী দু সপ্তাহের জন্য এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে। মায়ানমারের পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ভারত থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা (NDRF ) বাহিনীর ৮০ জনের একটি দল পাঠানো হচ্ছে।

শুক্রবারের জোরালো ভূমিকম্প এবং আফটার শকের ধাক্কা সামলে উঠতে পারিনি মায়ানমার। ধ্বংসস্তূপের মাঝে প্রানের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। এখানকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় ভূমিকম্পে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সেখানকার অনেক এলাকায় উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে পারেনি। আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় খালি হাতেই ধ্বংসস্তূপ সরানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন অনেকে।

আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভিস (Geological Service of USA) মনে পড়ছে মায়ানমারের মৃতের সংখ্যা দশ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। জুন্টার প্রধান আং লাইং শনিবার বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। ভারত প্রথম দফায় ১৫ টন সামগ্রী পাঠিয়েছে নয়া দিল্লি সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার আরও চারটি বিমান পাঠানো হতে পারে। চিন থেকে ৮২ জনের উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে মায়ানমারে। মালয়েশিয়া থেকেও ৫০ জনের একটি টিম সেখানে পৌঁছেছে । দক্ষিণ কোরিয়া কুড়ি লক্ষ ডলারের ত্রাণ পাঠানোর কথা জানিয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে আমেরিকাও।

-.