তিনদিন পরেও মায়ানমারে চলছে উদ্ধারকাজ: মৃতের সংখ্যা ২ হাজার পার

ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে মায়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও

ভূমিকম্পের পর তিনদিন পার। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মায়ানমারে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। সেই সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২,০৫৬। সেই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন, ৩,৯০০ জন। এখনও নিখোঁজ প্রায় ৩০০ জন। এক সপ্তাহ ধরে জাতীয় শোক পালনের কথা বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা করেছে জুন্টা সরকার।একটি হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এক মহিলাকে। প্রায় ৬০ ঘণ্টা তিনি চাপা পড়েছিলেন ম্যান্ডালে এলাকায় একটি হোটেলের ধ্বংসস্তূপের নিচে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে মায়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। সেখানে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১৮। তবে নির্মীয়মাণ স্কাইস্ক্রেপার ভেঙে পড়ায় আরও ৭৬ জন চাপা পড়ে রয়েছেন বলে প্রশাসনের অনুমান। তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালছে।শুক্রবার মায়ানমারে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, তার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৭। উৎসস্থল ছিল মায়ানমারের মান্দালয় শহরের কাছে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ বার ভূকম্প পরবর্তী কম্পন (আফটার শক) হয়েছে। সেই কম্পনের জেরে ভেঙে পড়েছে হাজার হাজার বাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি, মোবাইলের টাওয়ার। ফাটল ধরেছে সড়ক, সেতুতে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিস্তৃত এলাকা। ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ। রাজধানী নেপিডোয়ে এখনও বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে রাত কাটাচ্ছেন।

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মায়ানমারে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি দফতর, সৌধে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। দুনিয়ার সব দেশ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বলেছে। ভারত ইতিমধ্যে সাহায্য পাঠিয়েছে সে দেশে। সাহায্য করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।উদ্ধারকারীদের অনুমান, অনেকে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন। তাঁদের খুঁজে বার করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।ভূমিকম্পে মায়ানমারে মৃতদের মধ্যে তিন জন চিনের নাগরিক। এমনটাই জানিয়েছে চিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। ফ্রান্সের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভূমিকম্পে তাদেরও দু’জন নাগরিক মারা গিয়েছেন।