নাইট রাইডার্সের (KKR) মেরুদণ্ড একাই ধসিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রথম ভারতীয় হিসাবে ডেবিউ (debut) ম্যাচে চার উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন মুম্বইয় ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) অশ্বনী কুমার। মাত্র ২৩ বছরের অশ্বিনী কার্যত একাই গড়ে দিয়েছেন আইপিএলের চলতি সিজনে মুম্বইয়ের প্রথম জয়ের ভিত। তারপরই শুরু হয়েছে খোঁজ – কে এই অশ্বনী (Ashwani Kumar)। উত্তরটা দিতে গিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের স্কাউটদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক বলছেন, “একটা প্র্যাকটিস ম্যাচে অশ্বনী খুব ভাল বল করেছিল। ওর হাতে ছোট ছোট সুইং (swing) রয়েছে। তাছাড়া বাঁ হাতি পেসার। বল করার ধরণটা কিছুটা অন্যরকম। পিচ দেখে মনে হয়েছিল, এই উইকেটে ও সফল হবে। তাই ওকে মাঠে নামিয়ে দিই। আস্থার মর্যাদা রেখেছে অশ্বনী।” হার্দিকের (Hardik Pandya) সংযোজন, “এর জন্য আমি দলের স্কাউটদের (scout) কৃতিত্ব দেব। ওঁরা গোটা দেশ ঘুরে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের চিহ্নিত করে থাকেন। ওঁরাই অশ্বনীকে (Ashwani Kumar) খুঁজে বের করেছেন। ও যেভাবে আন্দ্রে রাসেলকে আউট করল, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।”

যাঁকে নিয়ে এত উচ্ছ্বাস, সেই অশ্বনীর জন্ম চণ্ডীগড়ের (Chandigarh) ঝনঝেরি গ্রামে। সেখান থেকে তরুণ পেসারের আইপিএল (IPL) যাত্রা পথটা রীতিমতো রূপকথার মতো। রোজ ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে ১১ কিলোমিটার দূরের মোহালি স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করতে যেতেন। বাহন ছিল একটা ঝরঝরে সাইকেল। কখনও কখনও সেটা বিগড়ে গেলে, বাবার কাছ থেকে ৩০ টাকা নিতেন অটোভাড়া বাবদ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্বনীর বাবা হর্কেশ এই কথা জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমার ছেলে খুব কষ্ট করে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে। নিলামে মুম্বই ওকে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনার পর জানতাম, ও হতাশ করবে না।”

মোহালি ক্রিকেট সংস্থার কোচ হরবিন্দর বেদবান আবার বলছেন, “২০১৬ সালে ওকে প্রথমবার দেখি। তখন ডেলিভারি করার সময় অশ্বনীর পা ঠিক জায়গায় পড়ত না। তবে প্রচুর পরিশ্রম করে সেটা ও শুধরে নিয়েছে। সুইং (swing) করানো ওর সহজাত। পাশাপাশি খুব ভাল বাউন্সার দিতে পারে। আশা করি, ও আরও অনেক দূর এগোবে।”


–


–

–

–

–
–

–
