বাংলা সহায়তা কেন্দ্র গুলির মাধ্যমে বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে রাজ্য সরকার সদ্যসমাপ্ত আর্থিক বছরে প্রায় ৪৯২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। তার মধ্যে মার্চ মাসেই সর্বোচ্চ ৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সব মিলিয়ে বিএসকে গুলির মাধ্যমে মোট ১ কোটি ৮৯ লক্ষ পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। তার মধ্যে ই-ওয়ালেট পরিষেবার সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ।

মূলত জমিবাড়ি রেজিস্ট্রেশনের স্ট্যাম্প ডিউটি সংক্রান্ত আয় থেকেই এই রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। এইভাবে বিএসকেতে ই-ওয়ালেট পরিষেবা চালু করায় সদ্যসমাপ্ত আর্থিক বছরে প্রায় ৪৯২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই সময় রাজ্যজুড়ে বিএসকেগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে তথ্য প্রদান পরিষেবার সংখ্যা ছিল ৪৩ লক্ষ ২৩ হাজার। এছাড়া অনলাইন আবেদনের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লক্ষ।

পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ক্রমশ ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। এর জন্য কৃতিত্ব দাবি করতে পারে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। রাজ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেনের গত এক বছরে দ্বিগুণের কাছাকাছি বেড়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে ওই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ১৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। তথ্য বলছে, প্রান্তিক মানুষজন সরকারি দফতরে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তেন। অনেকক্ষেত্রে সরকারি দপ্তরে যাওয়ার জন্য তাঁদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হত। কখনও সরকারি অফিসে গিয়ে নির্দিষ্ট দপ্তরটি খুঁজে পেতে তাঁদের সমস্যা হত। কিন্তু এখন রাজ্যের নানা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও খোলা হয়েছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। ওই কেন্দ্রগুলি বাড়ির কাছে থাকায় সাধারণ মানুষ এখন সহজেই কর দিতে পারছেন। অনলাইন লেনদেনের ব্যাপারে তাঁদের আগ্রহ বাড়ছে। ফলে সরকারের আয়ও বাড়ছে।

–


–


–

–

–

–
–

–

–