Sunday, August 24, 2025

ধর্মীয় মেরুকরণকে আরও শক্তিশালী করতে সংশোধিত ওয়াকফ বিল লোকসভায় পেশ করলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটিতে (JPC) পাস হয়েছে, বলে সাফাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। সেখানেই বিরোধীদের একযোগে প্রতিবাদ। সংবিধান অমান্য করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে তড়িঘড়ি পেশ করে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (WAQF Amendment Bill) পাশ করার চেষ্টায় মোদি সরকার, দাবি বিরোধীদের। ওয়াকফ ইস্যুতে একযোগে প্রতিবাদে ইন্ডিয়া জোট সদস্যরা।

বুধবার দেশের চলতি সময়ে সবথেকে নজরকাড়া ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। তার জন্য একদিকে যেমন বিজেপির পক্ষে যুক্তির সারি প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, তেমনই বিরোধীরাও একজোট হয়ে প্রতিবাদে প্রস্তুত। কংগ্রেস সাংসদ কে সি বেণুগোপাল বিল পেশের পদ্ধতিকেই অসাংবিধানিক বলে দাবি করেন। যেভাবে দুপুরে বিল পেশ করে বিরোধীদের আলোচনার সময় না দিয়েই বিল পাশ করার চক্রান্ত করেছে বিজেপি, সেই পদ্ধতিকেই অসাংবিধানিক (unconstitutional) বলে দাবি বিরোধীদের। এভাবেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক বিল পাশ করে আইন তৈরি করেছে স্বৈরাচারী মোদি সরকার।

অন্যদিকে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে বিরোধীদের দাবির কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছে মোদি সরকার। ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে বিরোধীরা জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি (JPC) দাবি করলে, সেখানে বারবার আলোচনা চলে সংশোধনীর ত্রুটি সম্পর্কে। অথচ সেখানে বিরোধীরা তাঁদের বক্তব্য পেশ করতে চাইলেই নাকচ করে দিয়েছেন জেপিসি-র (JPC) প্রধান বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পাল। আর সেই সংশোধনী নিয়েই লোকসভায় বুধবার বিল পেসের সময় বড়াই করেন মন্ত্রী রিজিজু (Kiren Rijiju)।

দেশের হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের পক্ষে টানতেই নিজেদের সুবিধা মতো সংশোধনী রেখেছে বিজেপি, দাবি বিরোধীদের। সেই সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার নতুন খেলা শুরু হয়েছে এই বিল সংশোধনী প্রস্তাবের মধ্যে দিয়ে, যা বারবার বিরোধীরা জেপিসি-র (JPC) আলোচনার সময় তুলে ধরেছে। তা সত্ত্বেও বিরোধীদের সেই সব দাবি নস্যাৎ করে সংশোধনীর জন্য পেশ করেন জেপিসি প্রধান জগদম্বিকা। যার ফলে জেপিসি-ই নিরর্থক বেল দাবি বিরোধীদের।

কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) বিল পেশের সময় দাবি করেন, হাতে লেখা সম্পত্তির সংশোধন হবে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলির হাতে থাকবে জমি হস্তান্তরের ক্ষমতা। গোটা নজরদারি চালাবে রাজ্যের সরকারগুলি। সেক্ষেত্রে রাজ্যের সরকারগুলি (state government) কাজ করলেও সংশোধন বা প্রস্তাবনার সব বার থাকছে কেন্দ্রের কাছে। সেক্ষেত্রে যেভাবে বিরোধী রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বারবার বঞ্চিত করে অর্থ বরাদ্দ করার মতো পক্ষপাত করে চলেছে মোদি সরকার, সেই একই প্রতিফলন ওয়াকফ বিলেও দেখা যাবে, আশঙ্কা বিরোধীদের।

Related articles

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...

DHFC-র পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত অভিষেক, দিলেন শুভেচ্ছা বার্তা

ডুরান্ড অভিষেকেই সকলকে চমকে দিয়েছে ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হয়ত তারা পারেনি নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে। কিন্তু গোটা...

উড়ালপুল–সেতুর নীচে বেআইনি দখলদারি সরাতে ‘উচ্ছেদ অভিযান’! উদ্যোগী কেএমডিএ 

কলকাতার উড়ালপুল ও সেতুর নীচ থেকে বেআইনি দখলদারি সরাতে উদ্যোগী হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। ইতিমধ্যেই চারটি...

ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ২৬ অগাস্টে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক 

চলতি সপ্তাহ থেকেই ফের শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর। আগামী মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট তিনি পৌঁছাবেন বর্ধমান।...
Exit mobile version