শহর থেকে জেলা শহরে রামনবমী নিয়ে উস্কানি দিয়ে অশান্তি তৈরির বিজেপির প্রচেষ্টা নিয়ে শনিবার থেকেই সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। মিছিল নিয়ে একাধিক বিধি নিষেধ কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court) জারি করলেও তা যে বিজেপির নেতা নেত্রীরা পরোয়া করেন না তা স্পষ্ট হয়ে গেল রবিবার রামনবমীর (Ramnavami) সকালে। কোথাও বাইক নিয়ে মিছিল করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আবার কোথাও লাঠি ঘুরিয়ে শক্তি প্রদর্শন সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের। তবে ধাতুর অস্ত্র ব্যবহারে আদালতের নির্দেশ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে তরোয়াল (sword) হাতে দেখা গেল বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে (Agnimitra Paul)। আবার নিয়ম ভেঙে মিছিল করে পুলিশের হাতে আটকে গিয়ে এলাকা গরম করার চেষ্টা লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee)।

নির্বাচনের সময় বাইক মিছিল করে নির্বাচনী প্রচার চালানো হলে বারবার বিজেপির তরফ থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানানো হয়েছে। বিজেপি তখন দাবি করেছে ভোটারদের মনে ভয় ধরাতে বাইক বাহিনীর তাণ্ডব চালায় রাজনৈতিক দল। এবার মেদিনীপুরে দেখা গেল নিজেই বাইক চালিয়ে বাইক বাহিনীকে (bike rally) নেতৃত্ব দিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপগড়ে বাইক মিছিল করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আবার কলকাতা ছেড়ে হাওড়ায় গিয়ে মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় সজল ঘোষকে।

আসানসোলে আবার সোজা তরোয়াল উঁচিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। আসানসোলের মহাবীর কমিটির আয়োজনে রামনবমীর পুজোয় যোগ দেন অগ্নিমিত্রা। সেখানে পুজোর আয়োজকরাই ব্যবস্থা রেখেছিলেন তরোয়ালের (sword)। সেখানে গিয়ে অগ্নিমিত্রা দাবি করেন, যদি তাঁদের রামনবমীর (Ramnavami) মিছিল পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করে তবে তার জন্য তাঁরা অস্ত্র (weapon) প্রস্তুত রাখছেন। সেখানেই পুলিশ প্রশাসনকে প্রচ্ছন্ন হুমকিও তিনি দিয়ে রেখেছেন বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।

আবার কলকাতায় বাইক মিছিল করে বেরোন বিজেপি প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। সেই বাইক মিছিল স্বাভাবিক নিয়মে কেষ্টপুরে আটকায় পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় তাঁর বাইক মিছিল নির্দিষ্ট রুট দিয়ে আসেনি। যে রুটে যাওয়ার অনুমতি তাঁরা নিয়েছিলেন, সেই রুটের বাইরে অন্য রুটে বাইক মিছিল করে অশান্তিতে ইন্ধনের পথে ছিলেন বিজেপি নেত্রী। তবে পুলিশ তা আটকে দিলেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান লকেট। দিনভর এভাবেই যে নিয়ম ভেঙে মিছিলের প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি, তা সকালেই বুঝিয়ে দিলেন লকেট।


অন্যদিকে, ধাতুর অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে (Bishnupur) লাঠি হাতে মিছিলে বেরোন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুরে লাঠিখেলার প্রদর্শনী করেন সৌমিত্র। তাঁর দাবি, রামনবমীতে অস্ত্রের প্রদর্শনী বহু প্রাচীন প্রথা।


–

–

–

–
–

–
