পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তিন অভিযুক্তকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ।এই ঘটনায় ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক-সহ মোট ন’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। ২৬ বছর ধরে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন জেলা আদালতে মামলা চলছিল।শেষ পর্যন্ত সেই মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দোষীদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও দিতে বলেছে আদালত।

ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯৯ সালে। তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনের থালামুথু নগর থানায় রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল ভিনসেন্ট, মুথু এবং মারিয়াদাস নামে তিন যুবকের। এই ঘটনায় মোট অভিযুক্ত ছিলেন ১১ জন। ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত হয়। প্রমাণের অভাবে দু’জন বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। দোষীদের মধ্যে ডিএসপি ছারাও ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আরও এক জন রয়েছেন। বাকিরা পুলিশের চাকরি থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিনয়গড় মন্দিরে একটি উৎসবে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিস্ফোরক পদার্থ থাকার অভিযোগে ভিনসেন্ট, মুথু এবং মারিয়াদাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কয়েকদিন পর থানা থেকে তাদের পরিবারকে জানানো হয়, তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। থানার সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান তারা। অভিযোগ, থানায় যত পুলিশকর্মী ছিলেন, লক আপে ঢুকে সকলে মিলে ওই তিন জনকে মারধর করেন। এর জেরেই মৃত্যু হয় তাদের।

ইনস্পেক্টর-সহ একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ওই থানার ইন্সপেক্টর ছিলেন রামকৃষ্ণণ। বর্তমানে থুথুকুডি জেলার ডিএসপি তিনি। তিন অভিযুক্তের মৃত্যুতে মোট ৯ জনের সরাসরি যোগের প্রমাণ পেয়েছে আদালত। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রামকৃষ্ণণ ছাড়াও একজন ইন্সপেক্টর রয়েছেন। বাকিরা পুলিশের চাকরি থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন।যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দোষীদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও দিতে বলেছে আদালত।


–


–

–

–

–
–

–

–