হার্দিক ঝড়েও জয় অধরা, ১০ বছর পর ওয়াংখেড়েতে জিতল আরসিবি

ওয়াংখেড়েতে হার্দিক(Hardik Pandya) ঝড় উঠলেও শেষরক্ষা হল না। যে হেজেলউডের(Josh Hazlewood) খারাপ ওভারের জন্য একসময় ম্যাচ প্রায় হাতছাড়া হতে বসেছিল বেঙ্গালুরুর(RCB), সেই অজি তারকাই আবার ম্যাচে ফেরাল বিরাট কোহলিদের(Virat Kohli)। হাইভোল্টেজ ম্যাচে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রুদ্ধ্বশ্বাস লড়াই। টানটান উত্তেজনা। বিরাট রান করেও শেষপর্যন্ত ১২ রানেই জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু(Rcb)। ২০১৫ সালের পর ওয়াংখেড়েতে মুম্বইকে(MI) হারাল আরসিবি। একইসঙ্গে রোহিতের ফর্ম নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন উঠে গেল এবার। একটানা ব্যর্থ হয়েই চলেছেন হিটম্যান।

বিরাট কোহলিদের ২২১ রানের জবাবে শুরুটা খানিকটা ধীর গতিতে হলেও, অধিনায়ক হার্দিক(Hardik Pandya) মাঠে আসার পরই ম্যাচের মোড় ঘুরতে শুরু করেছিল। হেজেলউডের একটা ওভারেই কার্যত ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। একের পর এক বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারিতে একটা সময় মনেই হচ্ছিল ম্যাচটা বোধহয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই(MI) জিতে নিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা আর হয়নি। সেই হেজেলউডের বলেই হার্দিক ফিরতে সব আশা শেষ মুম্ব ইন্ডিয়ান্সের।

টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হার্দির পান্ডিয়া। সল্ট ব্যর্থ হলেও, এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। সঙ্গে পাড়িক্কলকে পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বিরাট ফেরেন ৬৭ রানে। এরপরই অধিনায়ক রজত পাতিদার ম্যাচের হাল ধরেন। তিনি করেন ৩২ বলে ৬৪ রান। শেষ মুহূর্তে জীতেশ শর্মার ৪০ রানের ঝোরো ইনিংসে ভর করে ২২১ রানে পৌঁছয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চোট সারিয়ে ফিরলেও বল হাতে এদিন সেভাবে সফল হতে পারেননি জসপ্রীত বুমরাও(Jasprit Bumrah)।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ রানের মধ্যে দুই উইকেট খোয়ায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সূর্য এবং উইল জ্যাকসের পার্টনারশিপটা খানিকটা সামাল দেয়। কিন্তু আসল নাটকটা অপেক্ষা করছিল এরপর। হার্দিক মাঠে আসার পর থেকেই শুরু হয় রানের ঝড়। সঙ্গে তিলক বর্মার যোগ্য সঙ্গত। ২৯ বলে ৫৬ রানে থেমে যান তিলক। কিন্তু হার্দিককে ঘিরে তখনও আশার আলো মুম্বই শিবিরে। হবে নাই বা কেন মাত্র ১৫ বলেই যে ৪২ রান করে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই হেজেলউড কাঁটাতেই আটকে গেলেন। বাউন্ডারি লাইনে হার্দিকের ক্যাচ লিভিংস্টোনের হাতে। সেইসঙ্গে ম্যাচও হাতছাড়া মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের।