অনেক আশা নিয়ে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন৷ কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মুখোশের আড়ালে থাকা মুখগুলো বেআব্রু হয়ে পড়ে। অভিযোগ, পণের দাবিতে গৃহবধবূর ওপর অত্যাচার করা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত দাবি অনুযায়ী পণের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল উত্তর চব্বিশ পরগণার বেলঘড়িয়ার(belgharia) কলাবাগান এলাকায় ৷ মৃত ওই তরুণীর নাম সঙ্গীতা দে৷

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত শনিবার ওই তরুণীকে প্রচণ্ড মারধর করে তার স্বামী এবং শ্বশুর৷ এর পর ওই তরুণীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷এই পরিস্থিতিতে তরুণীকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরাই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে৷কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷

এরপরই বেলঘড়িয়া থানায় মৃত তরুণীর স্বামী সুজিত দে সহ সঙ্গীতার শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক৷ এখনও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ৷

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃত সঙ্গীতা এবং তার স্বামী সুজিত বেলঘড়িয়া কলাবাগান এলাকারই বাসিন্দা৷ বছর দুয়েক আগে প্রেম করেই বিয়ে হয় তাদের৷ কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে সঙ্গীতার ওপরে অত্যাচার করা হত৷ কিছুদিন আগে একটি পুত্রসন্তান হয় সঙ্গীতার৷ অভিযোগ, তার পরেও ওই তরুণীর ওপরে অত্যাচারের মাত্রা কমেনি৷ শেষ পর্যন্ত শনিবার তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।


–


–

–

–

–
–

–

–