সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য-অযোগ্য তালিকা দেয়নি। সরকারকে যোগ্য ও অযোগ্যকে আলাদা করার সুযোগ আদালত দেয়নি। তথ্য যাচাইয়ের অনুমতি দেয়নি। তাই এবার আদালতের কাছেই যোগ্য-অযোগ্য (tainted-untainted) তালিকা চাইবে রাজ্যের সরকার। আদালত যে মানবিক দিক বিচার না করেই রায় দিয়েছে তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে চাওয়া হবে গোটা মামলার স্বচ্ছতা (clarification)। সোমবার চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি সাফ জানান, রাজ্যের পক্ষ থেকে এসএসসির (SSC) মামলা লড়বেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি, কপিল সিব্বল, প্রশান্ত ভূষণ, রাকেশ দ্বিবেদী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও সংযোজন, “আমরা দু’মাসের মধ্যেই বিকল্প ব্যবস্থা করে দেব। যোগ্যদের (untainted) কারও চাকরি বাতিল হবে না। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কাছে ব্যাখ্যা চাইব।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,”আমরা রিকোয়েস্ট করেছিলাম চন্দ্রচূড়জি তখন অর্ডারটা স্টে করে দিয়েছিলেন। পরে অন্য একজন বিচারপতি এসে সবার চাকরি বাতিল করে দিলেন। আমি চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করছি। আমি বেঁচে থাকাকালীন কোন যোগ্য প্রার্থীর চাকরি কেড়ে নিতে দেব না এটা আমার শপথ। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার জন্য এত চক্রান্ত চলছে, পরিকল্পনা চলছে। এই রায়ের পেছনে কোন খেলা নেই তো? এই খেলাটা কে খেলছে? একজন বিচারপতির স্টে অর্ডারে অন্যজন রায় দিয়ে দিচ্ছে। বিচারের বাণী দ্বারা নিভৃতে না কাঁদে আমরা সেটাই আশা করছি।”

তিনি আরও জানান,”আমরা সমস্ত তথ্য দেব বিচার ব্যবস্থার কাছে। যারা আজকে শিক্ষা কাঠামো সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়েছে আমরা এটা নিশ্চিত করব আমরা প্রথমে একটা ক্লারিফিকেশন (clarification) চাই। ৩ মাসের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) যদি নেতিবাচক ক্ল্যারিফিকেশন দেয় বিকল্প ব্যবস্থা যা নেওয়ার আমরা নেব। এবং সে ক্ষেত্রে আপনারা যাতে আবার চাকরি ফিরে পান তার ব্যবস্থা দু মাসের প্রক্রিয়ার মধ্যেই সম্পন্ন হবে। আমি চাই মানবিকতার খাতিরে সুপ্রিম কোর্ট কেসটা নিয়ে ক্লারিফাই করে বলুক কারা যোগ্য আর কারা যোগ্য নয়। আমাদের হাতে লিস্ট তুলে দিক।”



–


–

–

–

–
–

–
