রাজ্যে একাধিক জেলায় আতশবাজি হাব তৈরির জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হতে চলছে। দার্জিলিঙের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়ায় ভূমি রাজস্ব দফতরের হাতে থাকা জমি আতশবাজি হাবের জন্য জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় সিলমোহর দেওয়া হতে চলেছে। প্রতিটি জেলায় আতশবাজি হাব গড়তে রাজ্য সরকার খরচ করবে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা। প্রতিটি হাবে ৫০০টি আতশবাজির স্থায়ী দোকান তৈরি করা হবে বলে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে সমস্তরকম সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রেখে বছরভর আতশবাজি কেনাবেচা করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এই হাবগুলি চালু হয়ে গেলে রাজ্যে বেআইনি আতশবাজির ব্যবসা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আতশবাজি হাবের জন্য বরাদ্দ জমি রাজস্ব দফতর জেলা প্রশাসনকে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়ার বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। গত এক বছর ধরেই এই প্রক্রিয়া চলছিল। কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের ছ’টি জায়গায় ক্লাস্টার তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো হবে হাবড়া, চম্পাহাটি, মহেশতলা, ধূপগুড়ি, বীরভুম এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের কাছের একটি জমিকে আতশবাজি হাব তৈরি করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। বাজি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এই ক্লাস্টারগুলো তৈরি হয়ে গেলে প্রায় তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এই প্রকল্পের জন্য ৯০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার। বাকি ১০ শতাংশ দেবেন আতশবাজি ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন- মর্মান্তিক! বাড়িতে না মানায় কাঁদতে কাঁদতে ভিডিও কলে আত্মহত্যা যুগলের

_


_


_

_

_

_
_

_

_