স্কুলে যাবই: মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের শেষে নতুন পথ চলা শুরু যোগ্য চাকরিহারাদের

ভেঙে পড়ছেন যোগ্য (untainted) চাকরিহারারা। তাঁরা জানান, আমরা এখন ভোটব্যাঙ্ক (vote bank)

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে শুধুই রাজনীতি করে গিয়েছে। সমাধানের পথ দেখানোর বদলে তাদেরই রাজনীতির অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। তা বুঝতে এতটুকুও দেরি করেননি চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা। সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বৈঠকে ডেকেছেন। সেখান থেকে আইনি সহযোগিতা করে আবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায় পুনর্বিবেচনার লড়াইতে পাশে থাকার পথ তৈরি করে দিয়েছেন। এবার সেই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে স্কুলে যাওয়ার বার্তা দিলেন শিক্ষকরা। তবে এটা তাঁদের প্রকৃত স্কুলে যাওয়া নয়, এমনটাও চোখের জলে জানিয়ে রাখলেন যোগ্য (untainted) চাকরি হারানো শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা।

নেতাজি ইন্ডোরের কনভেনশন থেকে স্কুলে পাঠদানের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে রাজ্য প্রশাসনের উপর আস্থা রাখার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আদালতের রায়কে বাঁচিয়ে ভলান্টারিলি কাজ করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে একথাও বলেছিলেন, দুই মাস কষ্ট করলে তাঁদের সার্ভিস ব্রেক যাতে না হয়, তারও আইনি পথ তৈরি রাখবে রাজ্য প্রশাসন।

এরপরই যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা আইনি লড়াইয়ের পথে। সব শিক্ষককে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে সরকারের দেখানো পথে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করবেন বলে জানান তাঁরা। সেক্ষেত্রে একটি মঞ্চ তৈরি করে জেলাভিত্তিক ও কেন্দ্রীয়ভাবে রিভিউয়ের (review) পদ্ধতিতে কাজ করার বার্তা দেন তাঁরা।

তবে তার পাশাপাশি তাঁরা কী স্কুলে যাবেন? প্রশ্নের উত্তরে যোগ্য শিক্ষকরা জানান, স্কুলে নিশ্চয়ই যাব। চূড়ান্তভাবে, আগের সম্মান নিয়ে যখন যাব, সেটাই আসল স্কুলে যাওয়া হবে। ততদিন নিজেদের কর্তব্য পালন করব। পাশাপাশি লড়াই জারি থাকবে।

সাম্প্রতিককালে বিরোধী দলগুলি যেভাবে শিক্ষকদের চাকরি খেয়ে শকুনের নৃত্য করছে, তাতে আরও ভেঙে পড়ছেন যোগ্য (untainted) চাকরিহারারা। তাঁরা জানান, আমরা এখন ভোটব্যাঙ্ক (vote bank)। আমাদের মানসিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। কোনও চিন্তাভাবনা যে করব সেই শক্তিও নেই। তবুও সেই পরিস্থিতি থেকে দলমত নির্বিষেশে যোগ্যদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যা করার তা করবেন বলে জানান তাঁরা।