Friday, November 7, 2025

অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্যদের মিলিয়ে দেওয়া অবিচার: তৃণমূলের সুরে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি রাহুলের

Date:

রাজ্যের চাকরিহারা শিক্ষক সমাজের হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে সওয়াল লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্যদের মিলিয়ে ফেলে বিচারের রায় শোনানো হলে তা যে চূড়ান্ত অবিচার, তা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের (President) রায়ের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) হস্তক্ষেপের আবেদন জানান রাহুল। সেই সঙ্গে একসঙ্গে এই বিপুল পরিমাণ শিক্ষক-শিক্ষিকা বাংলার স্কুলগুলি থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে সমস্যায় পড়বে পড়ুয়ারা। কার্যত যে চিন্তাভাবনা থেকে চাকরিহারা শিক্ষক সমাজের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের জন্য সদর্থক পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সেই পথেই এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ লোকসভার (Loksabha) বিরোধী দলনেতা।

সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরে রাজ্য সরকার রায় পুনর্বিবেচনার পথে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় পুনর্বিবেচনায় অনুরোধের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির। সেক্ষেত্রে তাঁকেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেন রাহুল। তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট – উভয়ের রায়কেই। যেখানে বলা হয়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু অযোগ্য (tainted) প্রার্থী চাকরি পেয়ে থাকলেও যোগ্যরাও (untainted) রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী হিসাবে। সেক্ষেত্রে যাঁরা যোগ্য (untainted) তাঁদের অযোগ্যদের (tainted) সঙ্গে একই সারিতে বিচার করা অত্যন্ত অবিচার (injustice) হবে।

সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যারা অপরাধী তাঁদের কোনও মতেই ছাড় দেওয়া উচিত নয়। তবে যাঁরা যোগ্য হিসাবে শিক্ষকতা করেছেন তাঁদের আচমকা শিক্ষকতা থেকে বসিয়ে দিলে তাঁদের নৈতিক মূল্যবোধের উপর চরম আঘাত করা হবে। সেক্ষেত্রে রাহুল (Rahul Gandhi) উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu) নিজে একজন শিক্ষিকা ছিলেন। ফলত, একজন শিক্ষকের জন্য এভাবে চাকরি চলে যাওয়া তাঁর, তাঁর পরিবার এবং পড়ুয়াদের জন্যও কতখানি মারাত্মক, তা বোঝা সম্ভব রাষ্ট্রপতির পক্ষে।

এই প্রসঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেন সেই সব পড়ুয়ার কথা, যাদের কথা না ভেবেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাহুল আবেদনে লেখেন, এই শিক্ষকরা প্রায় এক দশক ধরে শিক্ষাদান করেছেন। তাঁদের অনুপস্থিতিতে সেই সব স্কুলের কয়েক লক্ষ পড়ুয়ার শিক্ষকের অভাব হবে। তাই শিক্ষকদের চাকরিতে বহাল থাকার আবেদন যেন রাষ্ট্রপতি পুনর্বিবেচনা করেন, আবেদন রাহুল গান্ধীর।

Related articles

চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট কমাতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কেএমডিএ-র

ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেএমডিএ। শান্তিনগর খালের উপর বর্তমান সরু...

নামের বানানভুল থেকে ডিটেনশন আতঙ্ক! এসআইআর আতঙ্কে মানসিক চাপে সাঁইথিয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধের

ইলামবাজারের ঘটনার পর ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু বীরভূমে। হৃদরোগে প্রয়াত হলেন সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমান...

বিহারে প্রথম দফায় অতিরিক্ত ভোটদানে নতুন সমীকরণ! চিন্তায় শাসক শিবির

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী...

JNU-তে ফের বাম জোটের জয়জয়কার, খাতা খুলতে পারল না ABVP

ফের দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভোটে (JNU Students' Union Elections) খাতা খুলতে পারল না এবিভিপি। JNU ছাত্র...
Exit mobile version