সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তাঁরা এবারে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে। তবে এবার সংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, শিক্ষকদের চাইলে খাতা দেখার সুযোগ থাকবে। ইতিমধ্যেই সংসদের পক্ষ থেকে কোন শিক্ষককে কোন খাতা দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। এখন শিক্ষকরা নিজেদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে খাতা দেখতে পারবেন অথবা খাতা ফেরতও দিতে পারবেন।

সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, জেলার স্কুলগুলি থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে, যাতে জানা যায় কোন স্কুলে কতজন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। তার ভিত্তিতেই সংসদ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে খাতা দেখার ব্যাপারে।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয়ে বলেন, “মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশে কোনো বিলম্ব হবে না। আমি ইতিমধ্যেই পর্ষদের সঙ্গে কথা বলেছি, এবং আশা করছি খুব শীঘ্রই তারা ফলাফল প্রকাশের তারিখ জানাতে পারবে। এতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।”

এছাড়া, সংসদ সভাপতি আরও জানান, “এবারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় খাতা দেখার ক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা হবে না, এবং সময়মতো ফল প্রকাশিত হবে।” এখন দেখার বিষয়, শিক্ষকেরা কী সিদ্ধান্ত নেন খাতা দেখার প্রসঙ্গে। তবে সংসদ কর্তৃপক্ষ তাদের ইচ্ছার উপরই এটি ছেড়ে দিয়েছে, যা নিয়ে শিক্ষকরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।


এদিকে সুপ্রিম নির্দেশে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার এসএসসি অফিসে যান প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর বিজেপি সাংসদের অতিসক্রিয় হয়ে এসএসসি অফিসে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বললেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন বিচারপতি ছিলেন, তখন রাজনীতিকদের মতো কথা বলতেন। আর এখন রাজনীতিতে এসে বিচারপতিদের মতো কথা বলছেন।”

আরও পড়ুন – দলীয় সাংসদের আচরণে রুষ্ট কল্যাণ: দল এককাট্টা, বার্তা কুণালের

_

_

_

_

_

_